বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুরোদস্তুর ঝাঁপাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। বিরোধীপক্ষ থেকে ওঠা একাধিক পুলিশ অফিসার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শাসকদলের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগকে একেবারেই লঘু করে দেখেনি কমিশন। এই সূত্রে ইতিমধ্যেই রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে অপসারণ, রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে অপসারিত করে নীরজনয়ন পান্ডেকে ওই পদে বসানো, ইত্যাদি নানান পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এবারে ফের তিন গুরুত্বপূর্ণ অফিসারকে বদলির সিদ্ধান্ত নিল তারা।
হলদিয়ার এসডিপিও বরুণ বৈদ্যকে সরিয়ে পদে বসানো হল উত্তম মিত্রকে। কমিশনের চিফ ইলেক্টরাল অফিসার জানান, নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত বরুণ বৈদ্যকে ভোট সংক্রান্ত কোনও কাজে ব্যবহার করা হবে না। অন্যদিকে, মহিষাদলের সিআই বিচিত্র বিকাশ রায়কে পরিবর্তন করে আনা হয়েছে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের সিআই শীর্ষেন্দু দাসকে। এছাড়াও, দীর্ঘ ১০ বছরের দায়িত্বপ্রাপ্ত বালিগঞ্জের রিটার্নিং অফিসার অরিন্দম মানিকেও অপসারিত করা হয়েছে। এনারা কেউই নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো কাজে অংশ নিতে পারবেননা কারণ তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে শাসকদলের প্রতি পক্ষপাতিত্বের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাত পোহালেই দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ শুরু যার মধ্যে নজরে থাকবে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম যেখানে মুখোমুখি লড়াইয়ে আছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (তৃণমূল), শুভেন্দু অধিকারী(বিজেপি) ও মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (সিপিএম)রা। এর আগে মহিষাদলের সিআই বিচিত্র বিকাশ রায়কে পরিবর্তন এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলে।