প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ স্কুলের দরজা। মাঝে কিছুদিনের জন্য খুললেও, ফের বন্ধ হয় স্কুল। তবে বর্তমানে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আসন্ন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পরিস্থিতি। কারণ তাঁরা নবম (মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা) এবং একাদশ (উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা) শ্রেণিতে সেভাবে স্কুলের মুখ দেখেনি। ওদিকে করোনার জেরে বন্ধ ব্যয় বহুল প্রাইভেট টিউশন। এই পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীরা কতটা পড়াশুনো করছে, তার মূল্যায়ন হচ্ছে না। তাই এক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভাবনা নিল স্কুল শিক্ষা দফতর।
খবর, শিক্ষা দফতর (Education Department) হোমওয়ার্ক ভিত্তিক মূল্যায়ন চালু করতে চাইছে। বলে রাখা ভালো, ইতিমধ্যেই সব বিদ্যালয়েই বিশেষ করে এই দুই শ্রেণির ক্ষেত্রেই মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক জমা নেওয়া হয়েছে। যা এক প্রকার হোমওয়ার্ক। তবে এই টাস্ক অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন কিনা, তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি।
সূত্রে খবর, যত দিন না পুরোদমে স্কুল খুলছে ততদিন নবম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য থাকবে এই ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে, অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের ঘোষিত দিন অনুযায়ী বিদ্যালয় থেকে এই টাস্কের প্রশ্ন নিয়ে আসবেন। এবং পড়ুয়ারা হোমওয়ার্ক শেষ করে, অভিভাবকদের দিয়েই তা বিদ্যালয়ে জমা দেবে। তবে কোনও পরিস্থিতিতেই ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া চলবে না। এর ফলে সুবিধা হবে, পরীক্ষা আবারও করোনার জেরে বাতিল হলেও, এই টাস্ক দেখে মূল্যায়ন সম্ভব হবে। অন্যদিকে, পড়ুয়ারা কতটা পড়াশোনা করছে, তা বোঝাও সম্ভব হবে।
তবে কবে খুলবে স্কুল? এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা সকলেরই জানা। তবে বিশেষ সূত্রে খবর, রাজ্যের নির্দেশ পেলেই প্রাথমিকভাবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল খোলার রায় দিতে পারে শিক্ষা দফতর।