তিন বছর আগে অর্থাৎ ২০১৭ সালে দূর্গাপুরের ১ নং লকগেট ভেঙে গিয়ে সমস্ত জল বেরিয়ে গিয়ে জলশূন্য হয়ে পড়েছিল ব্যারেজ। শুক্রবার অর্থাৎ গতকাল রাতে ফের দুর্গাপুর ব্যারেজের ৩১ নং লকগেটের একাংশ ভেঙে গিয়ে বিপত্তি তৈরি হয়। ভেঙে যাওয়ায় হাজার হাজার কিউসেক জল বেরিয়ে যাচ্ছে। ভাঙা গেট মেরামতের কাজ এখনও পর্যন্ত শুরু হয়নি। তবে সেচ দফতরে খবর দেওয়া হয়েছে।
আজ সকালে অর্থাৎ শনিবার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্তি, পুরনিগমের ৪ নং বোরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুরের পশ্চিমে বিধায়ক বিশ্বনাথ পারিয়াল। লকগেট ভেঙে যাওয়ায় পানীয় জলের সরবরাহ যাতে ঠিক থাকে সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং জলের অকারণ অপচয় বন্ধ করতে প্রচার চালানো হচ্ছে। এই ঘটনায় সরকারের ওপর রোষ উগরে দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। তাঁর দাবি এর আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটলেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি রাজ্যে সেচ দফতর।
পশ্চিম বর্ধমান ও বাঁকুড়া জলের জন্য পুরোপুরি ভাবে দুর্গাপুর ব্যারেজের ওপর নির্ভরশীল। ফলে এভাবে সমস্ত জল বেরিয়ে যাওয়া জলশূন্য হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বন্যার আশঙ্কায় রয়েছে।