কিছুদিন আগে বাঁকুড়ার জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন "দুয়ারে দুয়ারে সরকার" প্রকল্পের। ১লা ডিসেম্বর অর্থাৎ আগামীকাল থেকে সেই প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে চলেছে। রাজ্যের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পৌরসভার ওয়ার্ড স্তর পর্যন্ত একাধিক শিবিরের আয়োজন করবে সরকার। ওই শিবিরে প্রশাসনিক কর্তারা সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিভিন্ন সরকারী পরিষেবা সংক্রান্ত দাবি দাওয়া শুনবেন। আগামীকাল থেকেই শিবির চালু হবে।
এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দোপাধ্যায় জানান এই প্রকল্প মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে দু-মাসে রাজ্যে প্রায় ২০ হাজার শিবির চালু হবে। ৩০শে জানুয়ারী পর্যন্ত চলবে "দুয়ারে দুয়ারে সরকার" প্রকল্পের অভিযান। চারটি পর্যায়ে এই প্রকল্পের কাজ চলবে। প্রথম পর্যায়ের সময়কাল ১-১১ ডিসেম্বর, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫-২৪ শে ডিসেম্বর, তৃতীয় পর্যায়ে ২-১২ জানুয়ারি, ২০২১ এবং চতুর্থ পর্যায়ে ১৮-২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ পর্যন্ত এই প্রকল্প চলবে।
এই কর্মসূচীতে স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, শিক্ষাশ্রী, রূপশ্রী, কৃষক বন্ধু প্রভৃতি প্রকল্প রয়েছে। এছাড়াও যাদের রেশন কার্ড নেই, কুপনের মাধ্যমে রেশন সংগ্রহ করেন তাদেরকেও রেশন কার্ড দেওয়া হবে। ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে তফসিলি জাতি ও উপজাতি মানুষদের জন্য "তফসিলি বন্ধু পেনশন প্রকল্প" নাম নথিভুক্ত হবে। এই প্রকল্পে মাসিক ১হাজার টাকা ভাতা পাবেন উপভোক্তারা। এছাড়াও শিক্ষাশ্রী প্রকল্পেও নাম নথিভুক্ত করতে পারবে জাতি ও তফশিলী উপজাতির ছাত্রছাত্রীরা। এর ফলে বছরে ৮০০ টাকা স্কলারশিপ পাবে ছাত্রছাত্রীরা। কৃষকবন্ধু প্রকল্পে যেসব কৃষকদের নাম এখনও নথিভুক্ত করা হয়নি তাদের নামও নথিভুক্ত করা হবে।