গত এক সপ্তাহ আগেই বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন তাঁর গাড়ির চালকের স্ত্রী। শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির সঙ্গে নাকি তাঁর গাড়ি চালকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে, থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন চন্দনার গাড়ির চালকের স্ত্রী। তবে এ অভিযোগ নস্যাৎ করেছিল চন্দনা ও তাঁর প্রথম স্বামী। এরপর জানা যায়, চন্দনা বাউরির গাড়িচালক হঠাৎই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। কারণ হিসেবে তাঁর স্ত্রী জানিয়েছিলেন, চন্দনার সঙ্গে বিয়ের সম্পর্কের জেরে সমস্যার সৃষ্টি হয়। আর তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন কৃষ্ণ।
তবে এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছিল। আর তার আগেই আর এক উদ্বেগের খবর। ডাক্তার দেখিয়েও লাভ হল না। চিকিৎসকেরা নাকি জানিয়েছেন, কৃষ্ণ পাগল হয়ে গিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের সামনে এমনটাই দাবি করছেন চন্দনার গাড়ি চালক কৃষ্ণের স্ত্রী।
এক সংবাদমাধ্যমকে কৃষ্ণের স্ত্রী রুম্পা জানিয়েছেন যে, "স্বামীকে সুস্থ করতে এখন ঝাড়ফুঁক ভরসা। আমার স্বামীর মাথার ঠিক নেই। সারাক্ষণ চন্দনা-চন্দনা করছে। এখানে এসেছি। দেখি কী হয়।’’ তবে একদম প্রথম থেকেই চন্দনা বাউরির দাবি, এই পুরো ঘটনা ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’। এমনকি বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছিল, কৃষ্ণ চন্দনার গাড়ির চালক নন। তিনি শালতোড়ায় বিজেপি-র সহ-আহ্বায়ক। তবে সত্যিই কি চন্দনার সঙ্গে কৃষ্ণের বিয়ে হয়েছে? এ বিষয়ে যদিও সংবাদমাধ্যমকে রুম্পা বলেন, "বিয়ে হয়েছে কিনা আমি তো চোখে দেখিনি। ওঁরাই পুলিশকে বলেছে। সবাই বলছে। তবে ওদের মধ্যে ঘটনাটা সত্যি।’’
প্রসঙ্গত, চন্দনার সঙ্গে বিজেপি নেতা কৃষ্ণের পরকীয়ার অভিযোগ ওঠে গত ১৮ অগাস্ট। জানা যায়, গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিশ চন্দনা ও কৃষ্ণের বিরুদ্ধে ৪৯৮-এ ধারায় বধূ নির্যাতনের মামলা রুজু করে। এরপর ১৯ অগাস্ট চন্দনা তাঁর স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে একটি ফেসবুক লাইভ করে বলেছিলেন, তিনি বিয়ে করেননি।