সর্ষের মধ্যেই ভূত! গরু পাচার চক্রের তদন্তে নেমে সিবিআই কর্তাদের হাতে উঠে এল এমন কিছু তথ্যপ্রমাণ। গরু পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত বিএসএফ কর্তাদের সম্পত্তির পরিমাণ খতিয়ে দেখবে সিবিআই।
সম্প্রতি গরু পাচার মামলায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বিএসএফ এর কমান্ডান্ট সতীশ কুমারের নামে। এবং সেই তদন্ত নেমে সিবিআই জানতে পারে সতীশ কুমারের দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবা ২০১৬ সালে আয় ও সম্পত্তি সংক্রান্ত প্রকল্পে ১২ কোটি টাকা আয়ের কথা জানান। সে বছরই প্রধানমন্ত্রী নোটবন্দি করেন।
সিবিআই সূত্রে খবর, সতীশ কুমারের শ্বশুরমশাই আয়করকে ১২ কোটি টাকা আয়ের কথা জানাতে চেয়েছিলেন। তিনি ২০০৬ সালে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে অবসর নেন। অবসরের ১০ বছরের পর ওই ব্যাক্তির ১২ কোটি কিভাবে জমলো তা নিয়ে সন্দেহ জন্মায় আয়কর কর্তাদের। সেই সময়ের মত সেই ঝামেলা এক হিসাব রক্ষকের মধ্যস্থতায় মিটেছিল। কিন্তু বর্তমানে সিবিআই তদন্তের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন গরু পাচারের অন্যতম অভিযুক্তের হিসাবরক্ষক ছিলেন সেই হিসাব পরীক্ষক। ফলে গরু পাচারের জমা হওয়া ঘোষ বিএসএফ কর্তার শ্বশুরমশাই এর অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছিল সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।