শত ব্যস্ততার মধ্যেও ঘাটালের যেকোন সমস্যায় বারবার ছুটে গেছেন অভিনেতা তথা সাংসদ দেব (Dev)। নিজে উদ্যোগ নিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে থেকে সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এসেছেন। নিজের লোকসভা ঘাটালের (Ghatal) বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। নিজেই জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandyopadhyay) প্রধানমন্ত্রী না হলে ঘাটাল সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। ২০১৪ সাল থেকেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন। কখনও লোকসভায়, আবার কখনও সাংবাদিক বৈঠকে বারবার ঘাটাল সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। তবে এবার ঘাটাল সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি এদিন বলেন, "একজন বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হন, এ-ও বলছি, বিজেপির যদি কেউ হন, যিনি মানুষের কষ্ট বুঝবেন। শুধু ভোটের সময়ে সোনার বাংলা গড়ার কথা বলবেন না। আমার মতে, একজন বাঙালি যদি প্রধানমন্ত্রী হতেন, তা হলে ওই সমস্যা দূর হত।" সাংসদ দেবের এহেন মন্তব্যের পর রীতিমতো রাজ্য-রাজনীতিতে উত্তাল অবস্থা। সাংসদ দেবের মুখে এমন 'বেফাঁস' মন্তব্যে বিড়ম্বনায় তৃণমূল কংগ্রেস।
ঘাটালের বারবার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস। বহু বছর ধরেই আটকে আছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। এই পরিকল্পনা রূপায়িত হলে ঘাটালের মানুষের সমস্যার সমাধান হত। কিন্তু কোন সরকারের আমলেই এই সমস্যার কোন সমাধান হয়নি। এদিন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের দাবিতে কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শাখাওয়াতের সঙ্গে বৈঠক করেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ও বিধায়কদের এক প্রতিনিধি দল। এই প্রতিনিধিদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ দেবও। এই বৈঠকের পর সাংসদ দেব আশাপ্রকাশ করেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কেন্দ্র সরকার খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নিতে পারেন।
সাংসদ দেব বরাবরই বিতর্ক নয়, বরং গঠনমূলক কথা বলে থাকেন। তবে এদিনের মন্তব্যের পর বিড়ম্বনায় পড়ে যান তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বদের একাংশ। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মানস ভুঁইয়া, সুখেন্দুশেখর রায়ের মতো তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারাও। দেবের এহেন মন্তব্যের পর রীতিমতো বিড়ম্বনায় পড়েন তাঁরাও। তবে পরিস্থিতি সামলে নিলেও এ মন্তব্যের পর রীতিমতো বিতর্ক তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।