পাকিস্তান সীমান্তের কাছে এসে সামনে থেকে ঝাকে ঝাকে গুলি থেকে নিজেকে আড়াল করে অত্যন্ত সাহসের সাথে যুদ্ধ করলেন এক সেনা আধিকারিক। মৃত্যু হলো এক জঙ্গির। পাক সীমান্তের বুক চিতিয়ে লড়াই করলেন এক বঙ্গতনয়। আর এবারে তার এই কৃতিত্বের জন্য মেজর সৈকত শেখর সরদার পুরস্কৃত হলেন কলকাতায়। তার বাড়ি চম্পাহাটি তে। বর্তমানে তিনি কলকাতায় কর্মরত রয়েছেন। ফোর্ট উইলিয়ামে একটি অনুষ্ঠান করে তাকে সাহসিকতার মেডেল পুরস্কার দিলেন ইস্টার্ন কমান্ডের জিওসি এনসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল চৌহান। এছাড়াও গ্যালানট্রি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন মেজর বিনীত কুমার, মেজর মোহিত খেরে সহ আরো অনেকে।
গত ২০১৯ সালে শ্রীনগর থেকে ১২৩ কিলোমিটার দূরে গুরেজ ভ্যালিতে পোস্টিংয়ে ছিলেন ওই সেনা আধিকারিক। এই উপত্যকায় তার ডিউটি ছিল। সেখানে অত্যন্ত কড়া পাক নজরদারি চলে। সেখানে সেনাবাহিনীকেও কড়া নজরদারি রাখতে হয়। ২০১৯ সালে রাতে সেনা বন্ধুদের কাছ থেকে সৈকতরা জানতে পারেন পাকিস্তান থেকে জঙ্গিদের একটা টিম অনুপ্রবেশ করতে চাইছে। সেইমতো রাতের অন্ধকারে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ঠেকানোর জন্য সৈকত শেখর সরদারসহ আরো পাঁচজন পৌঁছে যান সেখানে। রাতে দূরবীন দূর থেকে দেখতে পান সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গিরা ডুকছে। সেই মুহূর্তে তাদের কে ধরার জন্য তিনি এগিয়ে যান। উল্টোদিক থেকে ঝাকে ঝাকে গুলি আসা শুরু করে। কিন্তু সঠিক পজিশন নিয়ে এবং পাল্টা গুলি চালিয়ে এক জঙ্গিকে খতম করে দেন ভারতীয় সেনা। লড়াই করে নিজের টিমকে বাঁচিয়ে অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে জঙ্গিদের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য পুরস্কারে ভূষিত হলেন এই বাঙালি পুলিশ অফিসার।