মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় মন্ত্রী এবং বিধায়কের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল ১৬ জনকে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের তোলা হয়েছে আদালতে। পাশাপাশি হামলার ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবী জানিয়ে রাজ্য তৃণমূল ভবনে চিঠি পাঠিয়েছেন ঘটনায় আক্রান্ত বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। তবে তৃণমূলের রাজ্য স্তরের নেতাদের থেকে এবিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সূত্রের খবর, বর্ধমানের দুর্ঘটনায় মৃত ৫ জন এবং আহত ৬ জন মুর্শিদাবাদবাসীর পরিবারের লোকজনদের কাছে সমবেদনা জানাতে গেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা মুর্শিদাবাদ জেলার প্রাক্তন সভাপতি সুব্রত সাহা। তাঁর সাথে ছিলেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা এবং আরও বেশ কিছু নেতা। অভিযোগ, গ্রামে ঢুকতেই তাঁদের উপর আক্রমণ চালায় গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের সাথে তাঁদের ধস্তাধস্তি পর্যন্ত হয় বলে খবর সূত্রের।
ঘটনায় গ্রামবাসীরা একটি পুলিশের গাড়ি-সহ সুব্রত সাহা এবং জীবনকৃষ্ণ সাহার গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশবাহিনী। তবে পরিস্থিতি বাগে আনতে গিয়ে তাঁদেরও বেশ নাস্তানাবুদ হতে হয়। যদিও দীর্ঘক্ষণের প্রচেষ্টায় অবশেষে হাতের নাগালে আসে সেখানকার পরিস্থিতি। এলাকা যাতে ফের না উত্তপ্ত হয়, সেজন্য সেখানে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী।
এদিকে বুধবার রাতেই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। তিনি দাবী করেন, হামলার পিছনে রয়েছেন বড়ঞা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি গোলাম মুর্শেদ এবং ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি মাহে আলম। গতকাল রাতেই এই বিষয় নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে তদন্তের আবেদন জানাবেন বলে বলেছিলেন জীবনকৃষ্ণ। সেই মতো আজ রাজ্য তৃণমূল ভবনে আবেদন পাঠিয়েছেন তিনি। ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ১৬ জন অভিযুক্তকে।