বর্তমানে বঙ্গ রাজনীতির বহুল চর্চিত বিষয় কে হবেন বিরোধী দলনেতা। সিদ্ধান্ত বদল না হলে বিধানসভায় বিজেপির পরিষদীয় দলনেতার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য তথা কেন্দ্র বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছেন শুভেন্দুই হোক বিরোধী দলনেতা। তালিকায় রয়েছে মুকুল রায়। যদিও ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ভগ্ন স্বাস্থ্যের কারণে মুকুলবাবু পিছিয়ে পড়েছেন। তাছাড়া দলের অধিকাংশ বিধায়কের সবুজ সঙ্কেত নাকি শুভেন্দু অধিকারীর দিকে। বিজেপি সূত্রে খবর, শুভেন্দুই পারেন দলের প্রতিনিধি হয়ে শাসক দলের সঙ্গে সমানে টক্কর দিতে। তবে দলের পুরনো নেতা সংঘ ঘনিষ্ঠ একজনের কথাও নাকি ভাবা হচ্ছে।
একুশের নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি একমাত্র প্রধান বিরোধীদল। ৭৭ জন বিধায়কসহ বেশ শক্ত পোক্ত বিরোধীর ভূমিকায় অবতীর্ণ বঙ্গ বিজেপি। কিন্তু বিরোধী দলের নেতা কে হবেন, কার হাতে থাকবে বিধানসভার পরিষদীয় বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব, এ নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা। এমন অবস্থায় দলের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্ব জোড়া পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছেন। তাঁদের নেতৃত্বে বঙ্গ বিজেপি তাঁদের দলনেতা নির্বাচন করবেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদবকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রে খবর, আগামী সোমবার বা মঙ্গলবার দলের বিধায়কদের উপস্থিতিতে দলের 'কোড অফ কন্ডাক্ট' মেনে বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত করা হবে। এই পদে বসার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। কারণ শুভেন্দু অধিকারী শাসক দলের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠতে পারেন। তাছাড়া নির্বাচন-পরবর্তী রাজ্যজুড়ে হিংসার ঘটনায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এমন অবস্থায় সাধারণ দলের কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী। তাই কেন্দ্রীয় সহ রাজ্য নেতৃত্বে বিরোধী দলনেতা হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন শুভেন্দু অধিকারী।