বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মার 'বিতর্কিত' মন্তব্যের জেরে উত্তাল গোটা দেশ। তার আঁচ পড়েছে বাংলার বুকেও। বেশ কয়েকটি জায়গায় হয়েছে রেল অবরোধ, বিক্ষোভ, ভাঙচুর। রীতিমতোই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। এবার রেল অবরোধের জেরে কি প্রাণ খোয়ালেন একজন? রেল অবরোধের জেরে ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে থেকে প্রাণ খোয়ালেন এক ব্যক্তি। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন একাংশ।
ঠিক কী ঘটেছিল এদিন? চিকিৎসার জন্য হায়দ্রাবাদ গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। শুক্রবার সেকেন্দ্রাবাদ শালিমার সুপার ফার্স্ট এক্সপ্রেস ট্রেনে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। এদিকে গত পরশু থেকে পয়গম্বর বিতর্কে উত্তাল উলুবেড়িয়া চত্বর। বিভিন্ন জায়গায় চলে দফায় দফায় বিক্ষোভ। রেল অবরোধ তো ছিলই, সঙ্গে থানা ভাঙচুর, আগুন লাগানো, পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশের কিয়স্কে। রেল অবরোধের সময় সেই ব্যক্তি দেউলটি স্টেশনে আটকে পড়েন। দীর্ঘক্ষণ রেলে আটকে থাকার ফলে তিনি নাকি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর লিভারের সমস্যা ছিল বলে জানা গেছে।
দীর্ঘক্ষণ ট্রেনে আটকে থাকার ফলে সেই ব্যক্তি অচৈতন্য হয়ে পড়েন। রেলের চিকিৎসক এসে তাঁর চিকিৎসা শুরু করেন। যদিও ততক্ষণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। ঘটনার পর থেকেই তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। প্রতিবাদের নামে একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
হাওড়ার উলুবেড়িয়া চত্বরে পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। এদিকে আগামী সোমবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। ১৫ জুন পর্যন্ত নিষিদ্ধ হয়েছে কোনপ্রকার সভা, মিটিং, মিছিল। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জারি হয়েছে একগুচ্ছ নির্দেশিকা।