কথা দিয়েও সোমবার শ্রমিকদের হপ্তা মেটাননি মালিক৷ আশা ছিল, বোনাস না হোক, ছট পুজোর মরশুমে দু’এক দিনের মধ্যে বকেয়া মজুরিটুকু অন্তত পাওয়া যাবে৷ কিন্তু মঙ্গলবার কাজে গিয়ে শ্রমিকরা দেখলেন মালিক বন্ধ করে দিয়েছে এআই চাঁপদানি কারখানার ফ্লেক্স ইউনিটটিও৷ পথে বসতে হল প্রায় ৮০০ শ্রমিককে৷ গত সপ্তাহেই বন্ধ হয়েছে কারখানার ‘ফাইন ইউনিট’৷ কাজ হারিয়েছেন প্রায় ৯০০ জন৷ এবার ফ্লেক্স ইউনিটে তালা পড়ায় স্তব্ধ হয়ে গেল গোটা কারখানাটিই৷
এভাবে কারখানা বন্ধে ব্যাপক ক্ষুব্ধ জগদ্দলের শ্রমিক মহল্লা৷ শুধু যে কর্মরত শ্রমিকরা পাওনা মজুরি পাননি তাই নয়, বহুদিনের পুরনো এই কারখানাটির অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের প্রাপ্যও কর্তৃপক্ষ মেটায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে এলাকায়৷ এই কারখানার বেশিরভাগ শ্রমিকই আদতে বিহারের বাসিন্দা৷ ছট পুজোর এই মরশুমে আচমকা কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবং বকেয়া মজুরিটুকুও না পাওয়ায় তাঁরা চরম সমস্যায় পড়েছেন৷ সামনের দিনগুলি কিভাবে চলবে, সেই প্রশ্ণ যেন হাঁ করে গিলতে আসছে কাজ–হারানো পরিবারগুলিকে৷ এদিকে কেন কারখানা বন্ধ হল, তা নিয়ে এলাকার তৃণমূল ও বিজেপি– দুই দল শুরু করেছে দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপের পালা৷