উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন বর্তমানে গোটা দেশে খবরের শিরোনামে রয়েছে। আসলে এই রাজ্যের নির্বাচন জাতীয় রাজনীতিতে যে এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রয়েছে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এমনকি একাংশ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, "উত্তরপ্রদেশ যার, কেন্দ্রের ক্ষমতা তার।" ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন ১০ ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে এবং এই নির্বাচন ৭ দফায় হবে। নির্বাচনের ঠিক আগেই গেরুয়া নেতা যোগী আদিত্যনাথ রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর মুখ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন। তিনি এক সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত থেকে বলেছেন, "উত্তরপ্রদেশে ভোটপরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নিয়ে কোনো অস্পষ্টতা নেই। প্রত্যেক মানুষই জানেন মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন।"
সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত থেকে যোগী আদিত্যনাথ এও জানিয়েছেন যে যোগী সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য উত্তরপ্রদেশের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে রাখা। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন যে রাজ্যের কৃষকরা কোনোভাবেই বিজেপির উপর রেগে নেই। বিজেপি ৫ বছরে কৃষকদের জন্য যা কাজ করেছে তা শেষ ৫০ বছরেও হয়নি। তবে কোভিড আবহে নির্বাচনের প্রচার নিয়ে বাধা-নিষেধ জারি করেছে কমিশন। এবার থেকে ভার্চুয়ালি প্রচার হবে এবং আগামী ১৫ জানুয়ারি অব্দি কোনো রোড শো বা সভা-সমাবেশ হবে না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে মোট আসন ৪০৩ টি। গত ২০১৭ সালের নির্বাচনে বিজেপি ৩১২ টি আসনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় এসেছিল। সেবার সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস জোট বেঁধে লড়াই করে মোট ২৬ টি আসনে জয়লাভ করতে পেরেছিল। অন্যদিকে এসপি কোনক্রমে ৪৭ টি আসন পেয়েছিল। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপি জয়লাভ করে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। এবার যোগীর ঝুলিতে কত আসন আসবে সেটা নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে।