উত্তরপ্রদেশে সাত দফার নির্বাচন (Uttar Pradesh Assembly Election) শেষের পথে। আজ যোগীর রাজ্যে চলছে ষষ্ঠ দফার নির্বাচনী প্রক্রিয়া। পূর্ব উত্তর প্রদেশের ১০ টি জেলার ৫৭ টি কেন্দ্রে চলছে ভোটগ্রহণ পর্ব। আজকেই নিজের কেন্দ্র গোরখপুর (শহর) থেকে ভোট দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।
উল্লেখ্য, বিজেপির (BJP) জন্য বরাবরই শক্ত ঘাঁটি থেকেছে পূর্ব উত্তর প্রদেশ বা পূর্বাঞ্চল। এখানে মোট আসনের সংখ্যা ১১১, যা উত্তরপ্রদেশের মোট বিধানসভা আসনের এক-চতুর্থাংশেরও বেশি। প্রায় ২.১৫ কোটি ভোটার রয়েছেন শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশের এই ক্ষেত্রেই। ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ক্ষমতায় আসার পিছনে পূর্বাঞ্চলের ভোট যে অনেকটা সাহায্য করেছিল তা বলাই বাহুল্য। আজ যে ৫৭ টি কেন্দ্রে চলছে নির্বাচনী প্রক্রিয়া, ২০১৭ সালে তার মধ্যে ৪৬ টিতেই জিতেছিল বিজেপি। তাই এবারেও পূর্বাঞ্চলের দিকে তাকিয়ে রয়েছে যোগী সরকার।
এদিন ভোট দিতে দেখা গেল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও। ভোট দেওয়ার পরে সেই ছবি টুইটারে পোস্ট করে যোগী লেখেন, ‘নতুন উত্তরপ্রদেশের অবিরাম বিকাশ যাত্রার জন্য অবশ্যই ভোট দিন। ভারত মাতার জয়।’
গোরখপুর থেকে নির্বাচনে লড়ছেন যোগী আদিত্যনাথ। যদিও সেই কেন্দ্র থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সমাজবাদী পার্টির (SP) টিকিটে লড়ছেন মৃত বিজেপি নেতা উপেন্দ্র দত্ত শুক্লার স্ত্রী এবং আজাদ সমাজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রশেখর আজাদও। এই দফার নির্বাচনের ফলাফল পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের ভোটের উপর অনেকটাই নির্ভর করবে। এই দফার মোট ৫৭ টি আসনের ভিতরে ৩০ টি আসনেই ওবিসি (OBC) সম্প্রদায়ের আধিক্য রয়েছে।
সপ্তম এবং শেষ দফার ভোট হবে আগামী ৭ মার্চ। শেষ দফায় বাকি ৫৪ আসনে হবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া। আগামী ১০ তারিখ ঘোষণা হবে দেশের সর্বোচ্চ জনবহুল রাজ্যের নির্বাচনী ফলাফল, যার উপর নির্ভর করছে কেবলমাত্র উত্তরপ্রদেশে নয় বরং সমগ্র ভারতবর্ষের রাজনীতিও।