কেন্দ্রীয় গৃহ প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আশিস মিশ্রর বিরুদ্ধে উঠলো আন্দোলনকারী কৃষকদের হত্যার অভিযোগ। জানা গিয়েছে, রবিবার উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর এলাকায় বেশকিছু কৃষক তিনটি কৃষি বিল নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেই সেই কর্মসূচিতে কৃষকদের উপর গাড়ি চালিয়ে দেন আশীষ মিশ্র। গাড়ির তলায় চাপা পড়ে তৎক্ষণাৎ ২ জন কৃষকের মৃত্যু হয়। ঘটনার পরে এলাকার পরিস্থিতি একেবারে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। এ ঘটনার প্রতিবাদে কৃষকরা আশীষের গাড়ি সহ ৩টি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। শেষ পাওয়া খবরে অনুযায়ী, এখনো পর্যন্ত কৃষকদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে এবং এলাকার পরিস্থিতি এখনো অগ্নিগর্ভ রয়েছে।
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর জেলার টিকুনিয়া অঞ্চলে এই কৃষকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তিনটি কৃষি বিল নিয়ে। অজয় মিশ্রের আদি বাড়ি এই জায়গায়। সেখানে একটি অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগে কৃষকদের এই বিক্ষোভের জেরে প্রথম থেকেই পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ছিল না। ওই অনুষ্ঠানে উত্তরপ্রদেশের সহ মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কৃষকরা পরিকল্পনা করেছিলেন, উত্তরপ্রদেশের সহ মুখ্যমন্ত্রী যখন আসবেন তখন তাকে কালো পতাকা দেখানো হবে। আশিষের গাড়ির সামনেও এই একই রকম বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কৃষকরা। তারপরেই, আশীষ মিশ্র কৃষকদের উপরে নিজের গাড়ি চালিয়ে দেন। মারা যান ২ কৃষক। যদিও ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন জানিয়েছেন দুজন নয় বরং ৩ জন কৃষক মারা গিয়েছেন।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর জেনারেল প্রশান্ত কুমারকে লখিমপুর অঞ্চল প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। পরিস্থিতি সামলানোর জন্য ইতিমধ্যেই তিনি সেই জায়গার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বলে খবর। ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকাইত গাজীপুর থেকে লখিমপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "বিক্ষোভকারী কৃষকদের উপরে হামলা করা হয়েছে। ৩ জন কৃষক মারা গিয়েছেন। তেজেন্দ্র সিং বিরক আহত হয়েছেন।" অন্যদিকে, এই ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। তিনি বলেছেন, "কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকেরা শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধিতা করেছিল। গৃহ রাজ্যমন্ত্রীর পুত্র তাদের উপরে গাড়ি চালিয়ে তাদেরকে হত্যা করেছেন। এ বিষয়টি অত্যন্ত অমানবীয় এবং ক্রুর। উত্তর প্রদেশ বিজেপির দম্ভ আর সহ্য করবে না। এরকম যদি চলতে থাকে তাহলে উত্তরপ্রদেশে বিজেপি না গাড়ি নিয়ে চলতে পারবে, আর না গাড়ি থেকে বের হতে পারবে।"