রিলায়েন্স কর্ণধার তথা দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA গ্রেপ্তার করেছে মুম্বইয়ের পুলিশ অফিসার শচীন ওয়াজেকে। এরপরেই নয়া মোড়, শচীনের গ্রেপ্তারির প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশেরও বলেন, "ওয়াজে ছোট মুখ। কেবল তাঁকে দায়ী করলেই কেসটির সমাধান হবে না। এই চক্রান্তের পিছনে কারা? এটা তদন্তে উঠে আসা দরকার। যে রাজনৈতিক গুরুরা শচীনকে নিয়ন্ত্রণ করছিল, তাঁদের খুঁজে বের করতে হবে।”
অন্যদিকে শচীনের গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে নারায়ণের দাবি, ”শচীন ওয়াজে যা করেছে সেই প্লটের পিছনে রয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। মুখ্যমন্ত্রীই শচীনের গডফাদার। ওঁকে পদত্যাগ করতে হবে।” এদিকে ঘটনার তদন্তভার এনআইএ-কে দেওয়ার বিষয়ে বিজেপিকে পালটা আক্রমণ করেছে শিবসেনা।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ মুম্বইয়ে মুকেশ আম্বানির বাড়ির কয়েক গজের মধ্যেই মিলেছিল বিস্ফোরকভর্তি একটি গাড়ি। শুধু তাই নয়, গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি হুমকি চিঠি। কাজেই কথা ওঠে মহারাষ্ট্রে রাজ্য সরকার ঠিকমতো কাজ করছে না। আইনশৃঙ্খলার এমনই পরিস্থিতি যে মুকেশ আম্বানির মতো মানুষও নিরাপদ নন! এরপরেই এনিয়ে জোরদার তদন্ত শুরু করেছে মুম্বই পুলিস। তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে জেরাও করেছে মুম্বই পুলিসের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। আর তারপরেই গ্রেফতার হন মুম্বইয়ের পুলিশ অফিসার শচীন ওয়াজেকে।
এনআইএ জানিয়েছিল, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, শচীন মুখ ঢেকে সেখানে এসেছিলেন। এবং অ্যান্টিলার বাইরে যে বিস্ফোরক বোঝাই স্করপিও গাড়িটি পাওয়া যায় তার কয়েক ঘণ্টা পরেই সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে শচীনের উপস্থিতি। ওই স্করপিও গাড়িটির জন্য ভুয়ো নম্বর প্লেট ব্যবহার করেন শচীন। এরপরেই গ্রেফতার হয় শচীন।