সোমবার কাশ্মীরি পুলিশের সাথে গুলির লড়াইয়ে নিহত দুই জঙ্গি। সুত্রের খবর, নিহত দুই জঙ্গিই দ্যা রেসিস্টেন্স ফোর্স (টি আর এফ)-এর অন্যতম নেতা। প্রসঙ্গত, এই টি আর এফ হল লস্কর-ই-তৈবা-এরই ছায়াশিষ্য। আর এই দুই জঙ্গির নামে এর আগেও একাধিক হত্যা এবং কাশ্মীরি যুবকদের জঙ্গি গোষ্ঠীতে নাম লেখানোয় উৎসাহিত করার মতো অভিযোগ আছে, এমনটাই দাবী এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ আধিকারিকের।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, দুই আতঙ্কবাদীর একজন টি আর এফ-এর প্রধান আব্বাস শেখ এবং অপরজন এই জঙ্গি সংগঠনেরই ডেপুটি সাকিব মনজুর। সোমবার তাদের সাথে আলুচি বাগ পুলিশের সংক্ষিপ্ত গুলির লড়াই হয়। সাময়িক এই গুলির লড়াইয়ে পুলিশ নিকেশ করে দুই জঙ্গিকে।
এ বিষয়ে কাশ্মীর পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার বলেন, তাঁরা জঙ্গিদের গতিবিধি সম্পর্কে আগে থেকেই ওয়াকিবহাল ছিলেন। এদিন কাশ্মীর পুলিশের ১০ জন জওয়ান অসামরিক পোশাকে জঙ্গিদের ডেরা ঘিরে ফেলে এবং গুলিবর্ষণ শুরু করে। যার জেরেই প্রান হারায় দুই আতঙ্কবাদী। তিনি আরও জানিয়েছেন, শেখ এবং মনজুর কে খতম করা, প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাছে একটি বড় সাফল্য। শুধু পুলিশই নয়, জঙ্গিদের মৃত্যুর খবর শুনে সাধারন নাগরিকরাও বেজায় খুশি। তাঁদের কথায়, এবার অন্তত তাঁদের ঘরের ছেলেদের ‘ফুসলিয়ে’ জঙ্গি সংগঠনে নাম লেখানো বন্ধ হবে।