কৃষক আন্দোলন নিয়ে দেশের নানা প্রান্ত থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া এসেছে সামাজিক মাধ্যমে। ট্রেন্ডিং বোঝাতে হ্যাশট্যাগ সহযোগে ট্যুইটে মন্তব্য করা এক নব্য বহুল প্রচলিত পন্থা। আর তাতেই বিপত্তি ও বিতর্ক। কৃষক আন্দোলন সমর্থন ও একইসাথে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে #ModiPlanningFarmerGenocide লিখে ট্যুইটে প্রতিবাদ জানানো ২৫০ টি অ্যাকাউন্ট ব্লক করলো ট্যুইটার। কৃষকদের পাশাপাশি ওই তালিকায় রয়েছে বাম নেতা মহম্মদ সেলিম ও ক্যারাভান ম্যাগাজিনের ট্যুইটার হ্যান্ডেলও। বিশেষত প্রজাতন্ত্র দিবসের ঘটনার পর থেকে নানা ভুয়ো ও উস্কানিমূলক তথ্যসমৃদ্ধ ট্যুইটের নালিশ জমা পড়ে, তা রুখতেই অ্যাকাউন্টগুলি চিহ্নিত করে তা রুখতে এমনটা করা হয়েছে। কিষাণ একতা মোর্চা, ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন (একতা উগ্রাহন) ও ওই তালিকায় রয়েছেন। এমনকি বাদ যায়নি সমাজকর্মী হংসরাজ মিনা ও স্বর্গীয় অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের অ্যাকাউন্টও।
মহম্মদ সেলিম নিজেই অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, "বাজেটের পর কৃষকদের নিয়ে আমি একটি টুইট করেছিলাম, তার পরেই দেখতে পাই আমার টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের বিপরীতে কাউকে কথা বলতে দেবে না। খোঁজ নিয়ে দেখলাম, যাঁরা কৃষক আন্দোলনের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন, আজ তাঁদের অনেকের অ্যাকাউন্টই বিনা নোটিসে বন্ধ করা হয়েছে। এটা একটা নতুন ধরনের জরুরি অবস্থা। আমাদের দাবি, নিঃশর্তে সমস্ত অ্যাকাউন্টের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলতে হবে।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও আন্দোলনের পক্ষ নেওয়ায় অনেকের অ্যাকাউন্ট ব্লক করে ট্যুইটার। ট্যুইটার, ফেসবুক নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থে বিজেপি-আরএসএসের পাশে দাঁড়াচ্ছে, বলেন বিক্ষুব্ধ সেলিম। ওই অ্যাকাউন্টে দেখা যাচ্ছিল Account withheld: জানা গেছে, বিপুল পরিমাণে প্রধানমন্ত্রী বিরোধী লেখা আসায় আইটি নীতির ৬৯ এ ধারায় ওই অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রালয়। শোনা গেছে, প্রসার ভারতীর সিইও শেখর ভেমপতি ও আম আদমি পার্টির বিধায়ক জার্নেল সিং-এর অ্যাকাউন্টও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।