মা আমি স্কুলে যেতে চাই, কবে থেকে খুলবে স্কুল? ১২ বছরের এই খুদের প্রশ্নই তাকে নিয়ে গেলো দিল্লি হাইকোর্টের দরবারে। দিল্লি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই খুদের একটাই আর্জি, ১২ থেকে ১৭ বছরের কিশোর কিশোরীদের টিকাকরন করে স্কুল খোলার ব্যবস্থা করা হোক। দিল্লির বাসিন্দা ১২ বছরের টিয়া গুপ্তা তার মা নিওমা বাস্তব গুপ্তার মাধ্যমে দিল্লি হাইকোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছে, যেনো তাড়াতাড়ি দিল্লিতে শিশুদের জন্য ভ্যাকসিনেশন প্রটোকল চালু করা হয়। তার পাশাপাশি সন্তানের অভিভাবকদের জন্যেও করোনা ভ্যাকসিন প্রটোকল চালু করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তার সাথেই আছেন ৮ বছরের একটি বাচ্চার মা রোমা রাহেজা। সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে টিয়ার মা বলেছেন, "একদিন আমরা বসে লাঞ্চ করছিলাম। তখনই টিয়া জানতে চায়, সে কবে থেকে স্কুলে যেতে পারবে। আমি তাকে জবাব দেই, যখন তুমি ভ্যাকসিন গ্রহণ করবে তারপর।"
তিনি আরো বলেছেন, "এই কথোপকথনটি হয়েছিল মোটামুটি দেড় মাস আগে যখন করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত অবস্থা ছিল ভারতের। তারপর থেকেই আমি রিসার্চ করতে শুরু করি এবং জানতে পারি, এখনো বাচ্চাদের জন্য তেমনভাবে কোনো ভ্যাকসিনেশন এর প্ল্যান সরকারের তরফে গ্রহণ করা হয়নি। তখনই আমি দিল্লি আদালতে পিআইএল ফাইল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।" তিনি বলছেন, "আমেরিকা এবং অন্যান্য দেশে ১২ থেকে ১৭ বছরের বাচ্চাদের টিকাকরণ শুরু করে দেওয়া হয়েছে এবং তারা সকলে স্কুলে যেতে পারছে। এই দেশে এখনও সেরকম কোনো প্রোটোকল তৈরি করাই হচ্ছেনা। আমাদের বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছেনা, তারা খেলতে যেতে পারছেনা, তারফলে বাচ্চাদের মানসিক চাপ বাড়ছে, তারা মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। পড়াশোনা করার মন বসছেনা। যেখানে বাইরের দেশের বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে, পড়তে পারছে, সেখানে আমাদের ভারত যখন একটি বড়ো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে তখন তাদের মতই পরিকাঠামো তৈরি করা দরকার। আমাদের বাচ্চাদের কেনো পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে? আমাদের ভারতের বাচ্চারা কি পড়াশোনা করবেনা?" এই মামলা পৌঁছেছে বিচারপতি ডী এন প্যাটেল এবং বিচারপতি জ্যোতি সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্র এবং দিল্লি সরকারকে এই নিয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ৪ জুনের মধ্যেই এই মামলার শুনানি শুরু হওয়ার কথা।