কলিযুগে আর মন ভালো লাগছে না, ফিরতে ইচ্ছে করছিল সত্যযুগে! আর তাই শুধুমাত্র অন্ধবিশ্বাসের কারণেই এক প্রিন্সিপাল এবং তার স্ত্রী নিজের তরতাজা দুই কন্যাকে খুন করে দিল। হ্যাঁ, এমনই নৃশংস ঘটনা ঘটে গেল অন্ধ্রপ্রদেশে।
অভিযুক্ত দম্পতি পদ্মজা এবং পুরুষোত্তম নাইডু অন্ধ্রপ্রদেশের শিবনগর এলাকার মাদানাপাল্লের বাসিন্দা। একজন (মা- পদ্মজা নাইডু) বেসরকারি স্কুলের স্বর্ণপদক প্রাপ্ত গণিতের শিক্ষিকা। অপরজন আবার মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল (বাবা- পুরুষোত্তম নাইডু)। এত শিক্ষিত হয়েও কুসংস্কারের বলি হতে হল তাদের মেয়েদের! উঠেছে প্রশ্ন।
জানা গেছে, ওই দম্পতির বড় মেয়ে আলেখ্যা (২৭) ভোপাল থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন, অন্যদিকে ছোট মেয়ে সাই দিব্যা (২২) বিবিএ পাশ করেছেন। তিনি বর্তমানে মুম্বইয়ের এ আর রহমান মিউজিক স্কুলে পড়াশোনা করছিলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাতে প্রতিদিনের মতোই পুজোপাঠ চলছিল ওই বাড়িতে। তখনই দুই মেয়েকে খুন করে অভিযুক্ত বাবা-মা। প্রথমে মারধর, তারপর ত্রিশূল দিয়ে ছোট মেয়েকে খুন করে মা। এরপর ডাম্বেল দিয়ে মেরে বড়ো মেয়েকে খুন করে বাবা-মা।
জানা গেছে, ওই দম্পতির ধারনা ছিল এক বিশেষ পুজোর পরে কেটে যাবে সমস্ত কুপ্রভাব। এবং এও বিশ্বাস ছিল, তাঁরা খুন করেননি তাঁদের মেয়েকে। তাঁরা শুধু বলি দিয়েছে দেবতার কাছে, পুজোর পরে নাকি তাদের মেয়েরা বেঁচে উঠবে আবার সত্যযুগে। তবে তা না হতেই, ওই দম্পতি তাদের এক বন্ধুকে ফোন করে সব জানায়।
আর সেই বন্ধুই খবর দেন পুলিশে, ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তদের। তবে তাঁরা নাকি মানসিক ভারসাম্যহীন, জানিয়েছেন পুলিশ।