নির্বাচনের মাঝেই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা (Corona) সংক্রমণ। আর দ্বিতীয় ঢেউয়ের ঝাপটা সব থেকে বেশি যেখানে লেগেছে তা হল মহারাষ্ট্র (Maharashtra)। উপছে পড়ছে হাসপাতালে ভীড়, টান লেগেছে ভ্যাকসিনেও, নেই বেড। তেমনই এক চিত্র উঠে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, যেখানে দেখা যাচ্ছে হাসপাতালে বেড না থাকার দরুন অসুস্থ ব্যক্তিকে চেয়ারে বসিয়ে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। পাশেই অক্সিজেন সিলিন্ডার।
খবর, গত চব্বিশ ঘণ্টায় ওই এলাকায় ৬৮১ জন নতুন করে করোনাক্রান্ত হয়েছেন। ৭ জন মারা গিয়েছেন, রবিবার মহারাষ্ট্রে মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩ হাজার। ওসমানাবাদে সোমবার মোট ৪৩০০ জন সক্রিয় কোভিড রোগী রয়েছেন। আপাতত দেশের মোট কোভিড আক্রান্তের ৪৮.৫৭ শতাংশই মহারাষ্ট্রের। এদিকে মহারাষ্ট্রের ৭১টি টিকাকেন্দ্রের মধ্যে বেশিরভাগ কেন্দ্রেই ফুরিয়েছে টিকা। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্র ছাড়াও তামিলনাড়ু, দিল্লি, ছত্তিশগড়, পাঞ্জাব, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, কেরালা, উত্তরপ্রদেশেও কোভিড আক্রান্তের গ্রাফ উপরের দিকে। প্রতিদিন করোনাক্রান্তের সংখ্যা নতুন করে বাড়ছে ৮০.৮০ শতাংশ।
এক বিশিষ্ট ভায়রোলজিস্ট এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, "নতুন দ্বিগুণ মিউট্যান্টগুলি ভারতে ঢুকতে শুরু করে দিয়েছে এবং যার ১৫-২০ শতাংশ কেস মহারাষ্ট্রে পাওয়া গিয়েছে। যদি এই সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পায়, তবে মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ বাড়ার পেছনে এই মিউট্যান্টের ভূমিকা স্পষ্ট হবে।"
করোনা
Sources: wbhealth.gov.in. Modified data from: api.covid19india.org (license) with WB district name translations.
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬১,৭৩৬ জনের করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সোমবার মোট ৮৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে, এখনও পর্যন্ত দেশে মোট করোনা পজিটিভের সংখ্যা ১ কোটি ৩৬ লাখেরও বেশি। মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে এখন বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে ভারত। প্রথম স্থানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে মোট করোনা পজিটিভ কেসের সংখ্যা ৩ কোটি ১৮ লাখেরও বেশি। এখনও পর্যন্ত মোট ১৭১,০৮৯ জন ভারতীয় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন।
এই মুহূর্তে ভারতে শুধুমাত্র কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের টিকাকরণ চলছে। তবে চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যেই স্পুটনিক ভি, জনসন অ্যান্ড জনসন ভ্যাকসিন, নোভাভ্যাক্স, জাইডাস ক্যাডিলা ও ভারত বায়োটেকের ইনট্রানসাল ভ্যাকসিন ভারতের বাজারে চলে আসবে বলেই জানা যাচ্ছে। যদিও প্রশাসন সূত্রে খবর, সুরক্ষা ও কার্যকারিতার কথা মাথায় রেখেই জরুরি ভিত্তিতে এই সব ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে।