আগামী সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই দেশে করোনার (Covid-19) তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রন (Omicron) ওই সময়ে শিখর ছুঁতে পারে। আইআইটি মাদ্রাজের (IIT Madras) সাম্প্রতিক গবেষণা এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে করোনার সংক্রমণ ফেব্রুয়ারি মাসের ৬ তারিখের পর থেকে শিখর ছুঁতে পারে। ফেব্রুয়ারির ১ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যেই করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে ওমিক্রন এবং ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএ.২. আক্রান্তের সংখ্যা সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আইআইটি মাদ্রাজের সাম্প্রতিক গবেষণা।
আইআইটি মাদ্রাজের গবেষণায় বলা হয়েছে, ভারতের আর-সূচক (R-value) অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। যেকোন সময় করোনার সংক্রমণ সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে। জানুয়ারি ১৪ থেকে ২১ তারিখের মধ্যে আর-সূচক ছিল ১.৫৭, যা অতি আশঙ্কাজনক। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, কোন দেশের আর-সূচক ১-এর নীচে থাকলে কিছুটা চিন্তা দূর হয়। কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে এই আর-সূচক ক্রমশ চিন্তা তৈরি করছে।
কী এই আর-সূচক? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আর-সূচক হল সেই মাত্রা যেখানে সংক্রমিত ব্যক্তিদের কতজন নতুনদের আক্রান্ত করতে পারেন। সূচকের মাত্রা ১-এর নীচে থাকলে অতিমারীর সম্ভাবনা ক্রমশ কমতে থাকে। কিন্তু দেশে ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সেই পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে আইআইটি মাদ্রাজ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, ফেব্রুয়ারিতেই শিখর ছুঁতে পারে করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রন।
অন্যদিকে, চোখ রাঙাচ্ছে করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন। অবশ্য সপ্তাহের শুরুতে কিছুটা স্বস্তির খবর শোনাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৬ হাজার ৬৪ জন, গতকালের তুলনায় প্রায় ২৭ হাজার কম। মৃত্যু হয়েছে ৪৩৯ জনের। পজিটিভিটি রেট ২০.৭৫ শতাংশ, যার ঊর্ধ্বমুখী হার অব্যাহত। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪,৭৪,৭৫৩ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, যার মধ্যে ২০ শতাংশের বেশিই পজিটিভ। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২২ লক্ষ ৪৯ হাজার ৩৩৫।
এদিকে ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএ.২. নতুন করে চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। ডেনমার্কেই প্রথম এই সাব-ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান মেলে। বর্তমানে ওমিক্রন গোষ্ঠী সংক্রমণের চেহারা নিয়েছে। তাই কঠোর কোভিড বিধি-নিষেধ মানতে পারলেই কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা সম্ভব। এরমধ্যেই ১৬২ কোটির বেশি মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলিতে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, এখন এই মুহূর্তে ১৩ কোটির বেশি টিকা রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকায় মজুত রয়েছে।