করোনার জেরে কাজ হারিয়েছে অনেকেই। কাজ থাকলেও আবার বেতন কমেছে অধিকাংশ মানুষের। ব্যবসাতেও ছিল মন্দার বাজার। কাজ ছিল না পরিযায়ী শ্রমিকদের। এ পরিস্থিতিতে সরকারের দেওয়া বিনামূল্যের রেশনই দু’বেলা অন্ন জুটিয়েছে লকডাউনের সময়ে বহু মানুষের। তবে বর্তমানে আগের চেয়ে অনেকটাই স্বাভাবিক করোনা পরিস্থিতি। তাই দরকার নেই বিনামূল্যে আর রেশন দেওয়ার, কার্যত এমনটাই সুর কেন্দ্রের। এক সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রের খবর, মোদি সরকারের বক্তব্য, "দেশের আর্থিক পরিস্থিতি আগের থেকে এখন অনেকটাই ভালো। তাই বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছে।"
অন্যদিকে, শুক্রবার কেন্দ্রের খাদ্যসচিব সুধাংশু পাণ্ডে জানিয়েছেন, ৩০ নভেম্বরের পরও বিনামূল্যে রেশন প্রকল্প চালিয়ে যাওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে কোনও প্রস্তাব নেই। তাই বন্ধ হতে পারে বিনামূল্যে রেশন প্রকল্প।
এদিন কেন্দ্রের খাদ্যসচিব সুধাংশু পাণ্ডে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, "দেশে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ভালভাবেই হচ্ছে। তাছাড়া আমাদের ওএমএসএস নীতিতে এবার খোলাবাজারে খাদ্যশস্য বিক্রিও ব্যতিক্রমীভাবে ভাল। সে কারণে প্রধানমন্ত্রীর গরিব কল্যাণ যোজনার মেয়াদ বাড়ানোর কোনও প্রস্তাব আমাদের কাছে নেই।"
তবে কেন্দ্র চলতি নভেম্বরেই এই প্রকল্প বন্ধ করলেও একাধিক রাজ্য নিজেদের খরচে এই প্রকল্প চালাবে। যার মধ্যে অন্যতম পশ্চিমবঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষনা করেছিলেন, বিনামূল্যে দেয়ালে রেশন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে। অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও আগামী বছরের হোলি পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।