জম্মু-কাশ্মীরের কেবল স্থানীয় বাসিন্দা নয়, যাঁরা কর্মসূত্রে সেখানে থাকেন কিংবা পরিযায়ী শ্রমিক সকলেই ভোটার তালিকায় স্থান পাক, তাহলেই কমবে সন্ত্রাস। এমনটাই দাবি উঠল এবার। যদিও বিরোধীদের পাল্টা অভিযোগ, এই ঘটনা বাস্তবায়িত হলে 'ভুয়ো ভোটার' এসে আখেরে বিজেপি দলেরই লাভ হবে। মেহবুবা মুফতি কিংবা ওমর আবদুল্লা গোটা বিষয়টির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা (সিইও) হিরদেশ কুমার ঘোষণা করেছেন, কর্মচারী, ছাত্র, শ্রমিক বা বাইরে থেকে আসা যে কেউ যাঁরা সাধারণভাবে জম্মু ও কাশ্মীরে বসবাস করছেন, সঙ্গে অ-স্থানীয়রা ভোট তালিকায় তাঁদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই গোটা উপত্যকা জুড়ে বিদ্রোহের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
মেহবুবা মুফতি এক টুইট বার্তায় বলেছেন, "ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মীরে ভোট স্থগিত করার জন্য চক্রান্ত করছে। এখন অ-স্থানীয়দের ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া স্পষ্টতই নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করবে। আসল লক্ষ্য হল স্থানীয়দের ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য লোহার মুষ্টি দিয়ে জম্মু-কাশ্মীরকে শাসন করা।" আর একটি টুইট বার্তায় ওমর আবদুল্লা বলেছেন, "জম্মু-কাশ্মীরে প্রকৃত ভোটারদের সমর্থন নিয়ে বিজেপি কি এতটাই অনিরাপদ যে আসন জিততে তাকে অস্থায়ী ভোটার আমদানি করতে হবে? জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণকে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ দেওয়া হলে এই জিনিসগুলির কোনওটিই বিজেপিকে সাহায্য করবে না।"
জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা আরও বলেছেন, বহিরাগতদের ভোটার হিসাবে তালিকাভুক্ত করার জন্য আবাসনের প্রয়োজন নেই। তিনি আরও বলেছেন যে অন্যান্য রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীর কর্মীরা যাঁদের জম্মু-কাশ্মীরে পোস্টিং করা হয়েছে তাঁরাও ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম যুক্ত করতে পারেন। যদিও এই ঘটনার পর জম্মু-কাশ্মীরে তীব্র চাপানউতোর তৈরি হয়েছে।