করোনা পরিস্থিতি যেভাবে দিন দিন ভয়াবহ হচ্ছে, তাতে গাফিলতির অভিযোগ উঠছে কেন্দ্র ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলাও দায়ের করেছে শীর্ষ আদালত। আর তার মধ্যেই এদিন বৃহস্পতিবার কেন্দ্রকে কড়া নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। দ্রুত অক্সিজেন এবং টিকা বণ্টনের জন্য জাতীয় পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দিয়ে কেন্দ্রকে নোটিসও দিয়েছে শীর্ষ আদালত। কেন্দ্রকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, অক্সিজেন সরবরাহ, অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ সরবরাহ, টিকাকরণের পদ্ধতি এবং সার্বিক পরিকল্পনাতে গুরুত্ব দিতে।
এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে বলেন, “দেশের বর্তমান পরিস্থিতি জাতীয় জরুরি অবস্থার সমান। এ বিষয়ে আমরা একটা জাতীয় পরিকল্পনা জানতে চাই। আমাদের প্রধান চারটে বিষয় জানার আছে। সেগুলি হল, অক্সিজেনের সরবরাহ, অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের সরবরাহ, টিকাকরণের পদ্ধতি ও পরিকল্পনা।"
এদিকে বৃহস্পতিবার কমিশনকে কার্যত তুলোধোনা করলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণণ। তাঁর কথায়, "মহামারী পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র সার্কুলার দিয়ে জনগণকে সতর্ক করে দায় ঝেড়ে ফেলতে পারে না কমিশন। নির্বাচন কমিশন অসীম ক্ষমতার অধিকারী। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়নি। কমিশনের আধিকারিক ও কুইক রেসপন্স টিমকে কাজে লাগানো হচ্ছে না। কমিশন চূড়ান্ত অদক্ষতার প্রমাণ দিয়েছে।" তাঁদের কাজে রয়েছে যথেষ্ট গাফিলতি, সাফ কথা কলকাতা হাইকোর্টের।
তিনি আরও জানান, আদালতে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি না থাকায় এদিন কোনও নির্দেশ জারি করা হয়নি। পাশাপাশি, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, সরাসরি লকডাউন ঘোষণা করার মতো আইনি অধিকার হাই কোর্টের আছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখছে সুপ্রিম কোর্ট।