মেয়েটি একাদশ শ্রেণিতে পাঠরতা। পড়াশোনায় বেশ ভালো। এলাকার এক যুবক প্রেমের প্রস্তাব দেয়। না, মেয়েটি গ্রহণ করেনি। কিন্তু পরিণামে যে এমন ভয়ানক ঘটনা ঘটতে পারে কেউ আন্দাজও করতে পারেন নি।
ঘটনাটি তামিলনাড়ুর ত্রিচি এলাকায়। ২২ বছরের এক যুবকের প্রেমে সাড়া না দেওয়ায় ১৪ বার ছুরিকাঘাত। গুরুতর জখম অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি সেই নাবালিকা। এদিকে ঘটনার পর থেকেই মূল অভিযুক্ত কেশবন বেপাত্তা। পুলিশের তল্লাশিতে একটি রেলওয়ে ট্রাক থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়েছে। এমনকী কেশবনের বাবা সেই দেহ সনাক্ত করেছেন। কিন্তু কীভাবে সেই ঘটনা ঘটেছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সূত্রের খবর, কেশবন বারবার সেই একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে বিরক্ত করত। ঘটনার দিন পরীক্ষা শেষে তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় পথিমধ্যে কেশবন তাঁর পথ আটকায়। তারপর কেশবন প্রেম নিবেদন করে যদিও মেয়েটি সেই প্রেম প্রত্যাখ্যান করে। আর তখনই আচমকাই কেশবন ছুরি বার করে একের পর এক কোপ বসাতে থাকে। মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন দৌড়ে আসেন। ততক্ষণে কেশবন চম্পট দিয়েছে। মেয়েটির শরীর থেকে তখন রক্তের বন্যা। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও তাঁর অবস্থা অতি আশঙ্কাজনক।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ছিল মূল অভিযুক্ত কেশবন। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। যদিও রেললাইন থেকে নাকি তার দেহ উদ্ধার হয়েছে। কীভাবে তার মৃত্যু হল তা-ও স্পষ্ট নয়। এই কেশবনের বিরুদ্ধে এর আগে নাবালিকা অপহরণের মামলা ছিল। সদ্য নাকি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিল কেশবন।