সম্প্রতি বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মা টেলিভিশনের একটি বিতর্কানুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে নিজের বক্তব্য রাখার সময় হজরত মহম্মদের বিয়ে নিয়ে একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তিনি। আপত্তিকর সেই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। এমনকি দেশের গন্ডি পেরিয়ে ইসলাম অধ্যুষিত বাকি দেশগুলিতেও এর প্রভাব পড়ে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে একাধিক রাজ্য। হিংসা-হানাহানির জেরে আহত হন বহু মানুষ। পরবর্তীতে নুপুর শর্মাকে বহিস্কার করে দল।
আজ, শুক্রবার সর্বোচ্চ আদালত এই মামলার মত প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, শুধুমাত্র নুপুর শর্মার আলটপকা মন্তব্যের জন্যেই দেশে আগুন জ্বলছে। তিনিই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। আদালতের রায়, "নুপুর শর্মা যেভাবে দেশের মানুষের আবেগকে উস্কে দিয়েছে তা একেবারেই কাম্য নয়। তাঁর কথা দেশে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাচ্ছে দিনের পর দিন। ওঁর মতো মানুষেরা ধার্মিক নন। ওঁদের অন্য ধর্মের প্রতি কোনও সম্মান নেই। এই ধরনের মন্তব্য খুব সস্তার প্রচার পাওয়ার জন্য করা হয়। তিনি নিজে এক জন আইনজীবী হিসাবে পরিচয় দেন। তার পরেও তাঁর এই মন্তব্য উদ্বেগের। আমার মনে হয় গোটা দেশের কাছে তাঁর ক্ষমা চাওয়া প্রয়োজন।"
যদিও এতদিন পর ক্ষমা চেয়ে নিলেও কোনো লাভ হবে না এটা বোঝাই যাচ্ছে। একের পর এক মামলা দায়ের করা হয়েছে বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্রটির বিরুদ্ধে। কিন্তু তাঁকে ছুঁয়েও দেখেনি দিল্লি পুলিশ। যদিও এই মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন নুপুর শর্মা। জানিয়েছিলেন, তিনি খুনের হুমকি পাচ্ছেন। তাই তার বিরুদ্ধে যেসব মামলা বিভিন্ন রাজ্যে দায়ের করা হয়েছে, তা যেন দিল্লিতে স্থানান্তরিত করা হয়।