করোনা (Corona) সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল হতে হয়েছিল গোটা দেশবাসীকে। তবে সম্প্রতি সংক্রমণের হার অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। দেশজুড়ে চলছে টিকাকরণ। কারণ এইমুহূর্তে মারণ ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় গণটিকাকরণ ব্যবস্থা। টিকাকরন প্রক্রিয়া চললেও, এর শ্লথ গতির জন্য একাধিকবার বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছে কেন্দ্র সরকার (Central Government)। এবার ফের কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) টিকাকরণের ব্যাপারে মোদী সরকারকে চাপ দেওয়ার জন্য কংগ্রেস নেতা কর্মীদের বার্তা দিয়েছেন। তিনি দলের সাধারণ সম্পাদক ও রাজ্য নেতৃত্বদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন এবং সেখানে জানিয়েছেন, "সকলে যাতে টিকা পান সেটা দেখার জন্য দলের সক্রিয় ভূমিকা থাকা দরকার। চলতি বছরের শেষের মধ্যে অন্তত ৭৫ শতাংশ মানুষ যাতে টিকা পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। সবই এখন নির্ভর করছে টিকা যোগানের ওপর। কেন্দ্রীয় সরকারকে ক্রমাগত চাপ দিতে হবে। পাশাপাশি ভ্যাকসিন অপচয় যাতে বন্ধ হয় সেটাও দেখতে হবে। তৃতীয় ঢেউ আটকানোর জন্য আমাদের সব রকম প্রস্তুতি করে রাখতে হবে। দ্বিতীয় ঢেউতে প্রচুর পরিবার তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছে। তাদের কথা মাথায় রেখে তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য সবরকম ব্যবস্থা আগেই গ্রহণ করতে হবে।"
অন্যদিকে, কংগ্রেসের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে টিকাকরণ নীতি নিয়ে ক্রমাগত তোপ সম্বন্ধে গলায় সুর তুলেছেন শিবসেনা। এর মাধ্যমে শিবসেনা এবং কংগ্রেসের সম্পর্কে যে ফাটল ধরেছে তা স্পষ্ট বোঝা গেল। উদ্ভব ঠাকরের দল সরাসরি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে বলেছেন, "মোদি সরকারের সমালোচনা রাহুল করেন ঠিকই। কিন্তু কেবল টুইটারে। আর সেটা যখন কেন্দ্রীয় সরকার বুঝতে পেরেছে তারা সঙ্গে সঙ্গে টুইটারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে। বিরোধীদের একজোট করার জন্য শরদ পাওয়ার যে প্রয়াস নিয়েছেন, তাতে রাহুল গান্ধীও যোগ দিতে পারতেন। তাহলেই হয়তো বিরোধীদের জোট সত্যিকারের শক্তিশালী হয়ে উঠতো।" এখনও অব্দি কংগ্রেস শিবসেনা সমালোচনার কোনো জবাব দেয়নি।