বাড়তে পারে করোনার প্রকোপ। এমনকি আক্রান্তের সাথেই আগামী ২ সপ্তাহে দৈনিক মৃত্যু পৌঁছে যেতে পারে ১ হাজারে। কাজেই, হাসপাতালেও বেড পেতে হতে পারে সমস্যা। মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এমনই উদ্বেগের কথা জানাল সে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। আরও জানানো হয়েছে, "আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা আকাশছোঁয়া হতে পারে। পুণেতে আক্রান্তের সংখ্যা টপকে যেতে পারে ৬০ হাজারের গণ্ডি। একাধিক জেলায় পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা কমে আসতে পারে। সবচেয়ে খারাপ হাল হতে পারে নাগপুরে। আগামী ১১ দিনে মৃত্যু ছাড়িয়ে যেতে পারে ৬৪ হাজারের গণ্ডি।"
স্বাস্থ্য সচিব প্রদীপ ব্যাস জানিয়েছেন, "রোগীর সংখ্যার নিরিখে হাসপাতালে যথেষ্ট অক্সিজেন সহায়তাহীন শয্যা থাকলেও, পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে রাজ্য প্রায় ৪ হাজার অক্সিজেন সহায়ক শয্যা বৃদ্ধি করতে হবে। সবচেয়ে সমস্যার মুখে পড়তে পারে নাগপুর ও ঠাণে জেলা। সেখানে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ফুরিয়ে আসতে পারে আর মাত্র কয়েকদিনেই। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে অবিলম্বে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করা জরুরি।"
করোনা
Sources: wbhealth.gov.in. Modified data from: api.covid19india.org (license) with WB district name translations.
অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, "সরকারি তথ্য সঠিক নয়। শেষ তিন-চার দিনে রাজ্যে লক্ষাধিক মানুষ করোনাক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে আক্রান্তের ৪১ শতাংশ ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে যার মধ্যে ৮ শতাংশ আশঙ্কাজনক ও ০.৭১ শতাংশ রয়েছেন ভেন্টিলেটরে।"
এদিকে করোনার প্রকোপ বাড়তেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা রফতানি সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখছে ভারত। সূত্রের খবর, দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পরেই মোদী সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে শুধুমাত্র অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নয়, বরং কোভ্যাক্স টিকা রফতানিও ইতিমধ্যে বন্ধ রাখা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে একটি ই মেল-এর মাধ্যমে বলা হয়েছে, "রফতানির অনুমতি না পাওয়ার কারণে নিম্ন আয়ের দেশগুলিতে করোনার টিকা পৌঁছে দিতে সাময়িক দেরি হতে পারে। যে টিকা মার্চ ও এপ্রিল মাসে সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে রফতানি হওয়ার কথা ছিল, সেগুলি সামান্য দেরি করে পৌঁছবে বলেই মনে করা হচ্ছে।"