সম্প্রতি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান বিপিন রাওয়াত (Bipin Rawat), তাঁর স্ত্রী সহ অন্যান্য ১১ জন। তামিলনাড়ুর কুন্নুর শহরে মৃত্যু হয় তাঁদের। বিপিন রাওয়াতের মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। কিন্তু এই বিপিন রাওয়াতের সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেছেন সাব্বাহ হাজি (Sabbah Haji)। হাজি পাবলিক স্কুলের (Haji Public School) প্রাক্তন ডিরেক্টর সাব্বাহ হাজি সামাজিক মাধ্যমে (Social Media) বিপিন রাওয়াতকে 'যুদ্ধপরাধী' (war criminal) বলে উল্লেখ করেন। এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সাব্বাহ হাজির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। তবে আদালতের বেঞ্চের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শেষ পর্যন্ত তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।
বিপিন রাওয়াতের মৃত্যুর পরপরই সামাজিক মাধ্যমে সাব্বাহ হাজি বিপিন রাওয়াতকে 'যুদ্ধপরাধী' বলে মন্তব্য করার পর থেকেই সাব্বাহ হাজির পোষ্টগুলিকে ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়। নেটিজনরা সাব্বার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়। সেই মতো জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা জেলার ম্যাজিস্ট্রেট বিষয়টির তদন্ত শুরু করেন। একজন কর্মকর্তার দাবি "তাকে এই শর্তে জামিন দেওয়া হয়েছিল যে তিনি ১৪ থেকে ১৭ ডিসেম্বর তিন দিন সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত ডোডার মহিলা থানায় উপস্থিত থাকবেন এবং ১৭ ডিসেম্বর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডোডার সামনে হাজির হবেন।" সাব্বাহ নির্দেশটি মেনে নেওয়ায় তাকে জামিন দেওয়া হয়।
সাব্বাহ হাজি যেহেতু ডোডায় হাজি পাবলিক স্কুলের পরিচালক ও শিক্ষক ছিলেন। তাই অনেকেই হাজি পাবলিক স্কুলটি বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছেন। তবে স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটি একটি পাবলিক নোটিশ জারি করেছেন। সেখানে লেখা রয়েছে "রাওয়াত সম্পর্কে সাব্বার মন্তব্য প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল না। হাজি পাবলিক স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটি স্পষ্ট করতে চায় যে সামাজিক মাধ্যমে সাব্বাহের পোস্টের সাথে স্কুলের কোন সম্পর্ক নেই এবং উল্লিখিত ব্যক্তি স্কুলের সাথে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে তার ব্যক্তিগত ক্ষমতায় কাজ করেছেন। মিসেস সাব্বাহ হাজি, হাজি পাবলিক স্কুলের সাথে কোনও অফিসিয়াল ক্ষমতায় যুক্ত নন।" এই নোটিশটি সামাজিক মাধ্যমে স্কুলের অফিসিয়াল পেজে প্রকাশ করা হয়েছে।