ত্রিপুরায় গিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগে আগরতলা ত্রিপুরা পুলিশের দ্বারা গ্রেফতার হলেন তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। আগামীকাল ত্রিপুরা সফরে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। ঠিক তার আগের দিন আজ বিকেল বেলা আগরতলায় গ্রেফতার হলেন সায়নী ঘোষ। সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি নাকি গাড়ি চালিয়ে মানুষ খুন করার চেষ্টা করেছেন। যদিও ঘটনায় পুলিশকে বিজেপি দলদাস বলে আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। তার অভিযোগ, ত্রিপুরা বিজেপি নির্দেশে আগরতলা থেকে মিথ্যা অভিযোগে সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। তৃণমূলের জনপ্রিয়তাকে ভয় পেয়ে ত্রিপুরায় পুলিশ এইরকম করার চেষ্টা করছে।
পুরভোটের আগেই দফায় দফায় ত্রিপুরা উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। ত্রিপুরা পুলিশ যখন সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার করে আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় নিয়ে যায় সেই সময় রাস্তায় তান্ডব বেঁধেছে। হেলমেট পরে লাঠি নিয়ে তৃণমূল নেতা নেত্রীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে তৃণমূলের তরফ থেকে। ইটবৃষ্টি, একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর সহ একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। কয়েকজন হেলমেটধারী নাকি হাতে লাঠি নিয়ে থানার বাইরে থানার বাইরে জড়ো হয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া করলেও তৃণমূলের অভিযোগ, ত্রিপুরা পুলিশ এর মদত থেকেই এই সমস্ত ঘটনা ঘটছে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে।
এর আগে সকালে আগরতলায় পোলো টাওয়ার হোটেলে হানা দিয়েছিল পুলিশ। তৃণমূলের অভিযোগ সেই সময় মহিলা পুলিশ এসে সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করে। সেই সময় কুনাল ঘোষ বাধা দেওয়ায়, ব্যাপারটি সেই সময় ঘটানো সম্ভব হয়নি। কুনাল ঘোষ বলেন, কোন নোটিশ না নিয়ে তারা চলে এসেছিলেন তাকে গ্রেফতার করতে। এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ এবং যুব তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষের। তারপরেই সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি নাকি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সভা চলাকালীন গাড়ির মধ্যে বসে বিজেপি সমর্থকদের উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। এমনকি তিনি নাকি গাড়ি চালিয়ে লোক মারার চেষ্টা করেছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছে সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ রূপে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন যুব তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের পালা চলছে। ত্রিপুরা এবং আসামের তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব বলেছেন, এই সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল দলের জনপ্রিয়তা দেখে বিজেপি ভয় পেয়ে সমস্ত ঘটনা ঘটাচ্ছে। কেউ বিশ্বাস করবে না যে সায়নী ঘোষ গাড়ি চালিয়ে লোক মারার চেষ্টা করেছে। কিছুদিনের মধ্যেই সমস্ত সত্য সামনে আসবে।