জল্পনা অবশেষে সত্যি হল। উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার ৪ মাসের মধ্যেই ইস্তফা দিলেন তিরথ সিং রাওয়াত (TirathSinghRawat)। শুক্রবার রাতেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার (J P Nadda) কাছে পদত্যাগের পত্র তুলে দেন। এর পূর্বে দুর্নীতি এবং স্বজনপোষনের অভিযোগে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিজেপির ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াতকে। ফের নৈতিকতার প্রশ্নে তিরথ সিং রাওয়াতকে সরিয়ে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গকে বিশেষ বার্তা দিতে চলেছে বিজেপি মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
উত্তরাখণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীদের মূলগত ঐক্য দু'জনেই বিধানসভা নির্বাচনে জিততে পারেন নি। বিধানসভা নির্বাচনে না জিতেই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। এ নিয়ে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নৈতিকতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন। উত্তরাখণ্ডের ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নৈতিকতার প্রশ্নে অস্বস্তিতে ফেলতে এমন সিদ্ধান্ত বিজেপির মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক একাংশ। এখন প্রশ্ন উত্তরাখণ্ডের এই ঘটনা কি এ রাজ্যে হতে চলেছে? তিরথ সিং রাওয়াতকে মসনদ ধরে রাখতে হলে ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হত। এদিকে কোভিড আবহের জন্য এই মুহূর্তে কোন নির্বাচন করাতে কমিশন দ্বিধাগ্রস্ত। এক্ষেত্রে উত্তরাখণ্ডের এই ঘটনা দিয়ে কি পশ্চিমবঙ্গকে কোন বিশেষ বার্তা দিল বিজেপি, এমন মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
এদিকে এদিন রাজ্যের রাজ্যসভা আসনে নির্বাচন করার জন্য নবান্নকে চিঠি দিয়েছে কমিশন। পাল্টা উপনির্বাচনের জন্য কমিশনকে চিঠি দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন, করোনার দাপট এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে, তাই উপনির্বাচন করে ফেলাই যায়। তবে উত্তরাখণ্ডের এই ঘটনা কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নতুন কোন অস্বস্তিতে ফেলবে? তা নিয়ে জল্পনা চলছেই।