নাবালিকা মায়ের বিরুদ্ধে ২ মাসের শিশুসন্তানকে খুনের অভিযোগ। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) ইন্দোরের এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সেই নাবালিকা মা পুলিশের কাছে গিয়ে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। কেন তিনি এমন চরম সিদ্ধান্তের পথ বেছে নিলেন, তা-ও খোলসা করেছেন পুলিশের কাছে।
ঠিক কী কারণে এই নাবালিকা মা এই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন? সূত্রের খবর, এই নাবালিকা ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। ধর্ষণের ঘটনার পর তিনি সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়েন। পরিবারের লোকজন নাবালিকাকে সেই ধর্ষককে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকে। এদিকে বিয়ে না হলেও নির্ধারিত সময়ে সেই নাবালিকা একটি শিশু সন্তানের জন্ম দেন। নিজের বাপের বাড়িতে এরপর থেকে লাঞ্ছনা-গঞ্জনার শেষ নেই। নিজেরই ঠিকঠাক খাবার জুটছিল না, তার উপর এই দু'মাসের শিশু-সন্তান নিয়ে রীতিমতো দুর্বিষহ অবস্থা।
গোটা ঘটনাটি প্রথমে প্রকাশ্যে আসেনি। ২ মাসের শিশুটির মৃত্যুর পর তার ময়নাতদন্ত হয়। সেই ময়নাতদন্তের রিপোর্টে খুনের অভিযোগ উঠে আসে। তখনই গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। ইতিমধ্যেই সেই নাবালিকা মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় অভিযুক্তা মা নিজেই স্বীকার করেছেন তাঁর অপরাধের কথা। পরিবারে, সমাজে তিনি যে কতটা নির্যাতিতা হচ্ছিলেন, তার কথাও বলেছেন। অন্যদিকে শিশুকে কী খাওয়াবেন, কীভাবে মানুষ করবেন - সে চিন্তা তো ছিলই। তাই উপায়ান্তর না পেয়ে নিজের শিশু সন্তানকে খুনের অভিযোগ উঠল নাবালিকা মায়ের বিরুদ্ধে।