ওমিক্রণ ভেরিয়েন্ট করোনা ভাইরাসের জন্য ভারতের প্রথম মৃত্যু রিপোর্ট করলো ভারত। বুধবার ভারতের স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে এই বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে আজকে। রাজস্থানের উদয়পুর বাসিন্দা ৭৩ বছর বয়সী লক্ষ্মীনারায়ণ নাগর গত ১৫ ডিসেম্বর থেকেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসার পরে তাকে সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পরিবারের তরফ থেকে। শুধু করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ছাড়াও তার দেহে কো-মর্বিডিটিও উপস্থিত ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন এবং আরো অনেক রোগ আক্রান্ত ছিলেন ওই ব্যক্তি। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ওই ব্যক্তির রক্তের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিং করার জন্য পাঠানো হয়েছিল। যদিও ২১ ডিসেম্বর তিনি করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট করেছিলেন।
ওই ব্যক্তি এর আগে দুটি ভ্যাকসিনের ডোজ গ্রহণ করেছিলেন এবং ওই ব্যক্তির তেমন কোনো ভ্রমণের ইতিহাসও নেই। যদিও করোনা নেগেটিভ হওয়া সত্বেও ওই ব্যক্তিকে ছাড়তে নারাজ ছিলেন রাজস্থানের ওই হাসপাতালের ডাক্তাররা। রাজস্থানের স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই ব্যক্তির মৃত্যুকে ভারতের প্রথম ওমিক্রণ ভেরিয়েন্টের মৃত্যু হিসেবে চিহ্নিত হবে। ২৫ ডিসেম্বর ওই ব্যক্তির জিনোম সিকোয়েন্সের রিপোর্ট সামনে আসার পরেই জানা যায়, তিনি ওমিক্রণ আক্রান্ত হয়েছেন। জিনোম সিকোয়েন্সিং এর রিপোর্ট সামনে আসার মাত্র ছয় দিনের মাথায় ৩১ ডিসেম্বর ভোর রাত ৩:৩০ নাগাদ তার মৃত্যু হয়।
ইতিমধ্যেই, ভারতে ওমিক্রণ ভেরিয়েন্ট আক্রান্তের সংখ্যা ২,০০০ ছাড়িয়েছে। ভারতে বর্তমানে ওমিক্রণ আক্রান্তের সংখ্যা ২,১৩৫। মহারাষ্ট্রে ৬৫৩টি কেস ধরা পড়েছে এই নতুন ভাইরাসের। দ্বিতীয় স্থানে আছে দিল্লি। ক্রমাগত ভারতের করোনাভাইরাস গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৫৮ হাজার ৯৭ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তার আগের দিনের থেকে ৫৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। সাপ্তাহিক পজিটিভিটি হার ২.৬ শতাংশ এবং প্রতিদিনের পজিটিভিটি হার বর্তমানে ৪.১৮ শতাংশে পৌঁছেছে। বেশকিছু রাজ্যে ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস বিধি-নিষেধ লাগু করা হয়েছে, শুরু হয়েছে নাইট কারফিউ এর ঘটনা। তার মধ্যেই আবার ভারতে প্রথম মৃত্যু হল ওমিক্রণ ভেরিয়েন্ট এর জন্য।