প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ভারতীয় জনতা পার্টির পরবর্তী টার্গেট কিন্তু সরাসরি উত্তর প্রদেশ। এই রাজ্যে আগামী ২০২২ সালে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগেই, সেখানে পৌঁছে গিয়ে জোর কদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপি ব্রিগেড কোনভাবেই উত্তরপ্রদেশ হাতছাড়া করতে চাইছে না, কারণ যারা রাজনৈতিক বিশ্লেষক রয়েছেন তারা বলেন, উত্তরপ্রদেশের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নাকি লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নির্ভর করে। এতদিনকার ট্রেন্ড বলে, এখনো পর্যন্ত তাই হয়ে এসেছে। তাই সেই ট্র্যাডিশনকে কোনোভাবেই হারাতে চাইছে না ভারতীয় জনতা পার্টি।
এই কারণেই এ বছর অযোধ্যার দীপাবলি অর্থাৎ দীপ উৎসবের সূচনা করতে চলেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এতদিন পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এর হাত ধরে এই উৎসবের সূচনা হয়ে এসেছিল। কিন্তু এবারের বছরটা কিছুটা আলাদা। তাই এবারে এই উৎসবের উদ্বোধন করে দীপাবলীর সূচনা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, আগামী বছর অনুষ্ঠিত হতে চলা উত্তরপ্রদেশ সাধারণ নির্বাচনকে পাখির চোখ করে লড়াই শুরু করতে চাইছে বিজেপি। এই কারণেই তাদের এই বিশেষ পরিকল্পনা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী ৩ নভেম্বর নভেম্বর দীপাবলি উৎসব শুরু হচ্ছে। তাই ঐদিন নিজেই অযোধ্যায় উপস্থিত থেকে উত্তরপ্রদেশে প্রদীপ জ্বালানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন মোদি।
পাশাপাশি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নিজের নাম নথিভুক্ত করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। এই কারণেই ঐদিন রেকর্ড পরিমাণ সাড়ে ছয় লক্ষ প্রদীপ জ্বালানোর পরিকল্পনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো উৎসাহিত হয়ে পড়েছে উত্তরপ্রদেশের মানুষজন। পাশাপাশি, উদ্যোক্তারা ও এর জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। অযোধ্যার উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি বিশাল সিং একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় বললেন, 'যদি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আবারও অযোধ্যায় আসেন, নিঃসন্দেহে তা আমাদের জন্য অত্যন্ত সৌভাগ্যের একটি বিষয় হবে। বিখ্যাত বলিউড শিল্পনির্দেশক নীতিন চন্দ্রকান্ত দেশার দীপাবলীর মঞ্চকে সাজাতে একটি সেট তৈরি করতে চলেছেন। রাজ্য সরকারের সম্মতি পেয়ে গেলেই তিনি এই বিশেষ সেট তৈরি করার কাজ শুরু করে দেবেন।' আগামী বছর উত্তর প্রদেশ সাধারণ নির্বাচন। তাই এই হাইভোল্টেজ নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই ভোটের আগের শেষ দীপাবলিতে চোখ ধাঁধানো আয়োজন করতে চলেছে শাসক দল বিজেপি।