আবারো ভারতের উপরে একটি জঘন্য হ্যাকিংয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করল পাকিস্তান। ভারতের বিদ্যুৎ ক্ষেত্র এবং সরকারি ওয়েবসাইট গুলিতে মালওয়্যার নামক ভাইরাস ঢুকিয়ে দিয়ে সেগুলি থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতানোর চেষ্টা করছিল পাকিস্তানের বেশকিছু হ্যাকার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার সুরক্ষা সংস্থা ব্ল্যাক লোটাস ল্যাবের রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের বিভিন্ন ডাটা কালেক্টিং ওয়েবসাইটে আরো এরকম হ্যাকিং হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই প্রথম নয়, বিশেষজ্ঞরা জেনেছেন এর আগেও বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়ীদের তথ্য চুরি করার চেষ্টা করেছিল বেশকিছু পাকিস্তানি হ্যাকার। কিন্তু এর সঙ্গে চীনের কোন যোগাযোগ নেই। চীনের হ্যাকার যেভাবে কাজ করে সেই ভাবে এই হ্যাকার কাজ করছে না। অর্থাৎ পরিষ্কার, চীনের হ্যাকারদের সঙ্গে একসঙ্গে মিলে এই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়নি।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের ইন্টারভিউ দেবার সময় মার্কিন সংস্থার সহ-সভাপতি মাইকেল বেঞ্জামিন জানিয়েছেন, " ইতিমধ্যেই আমরা এই হ্যাকিংয়ের বেশ কিছু তথ্য জানতে পেরেছি। আমরা বুঝতে পেরেছি এই হ্যাকিং সম্পূর্ণরূপে করা হয়েছে পাকিস্তান থেকে। যে সমস্ত নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়েছিল সেই সংস্থা নেটওয়ার্ক ভালো করে খতিয়ে দেখেছি আমরা, এবং স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাচ্ছে ভারতের বিভিন্ন ডাটা কালেকশন ওয়েবসাইটে হানা দেওয়ার জন্য এই ধরনের হ্যাকিংয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল। আপাতত মূলত একটি বিদ্যুৎ সংস্থা এবং একটি সরকারি ওয়েবসাইটে হানা দেওয়া হয়েছিল। একেবারে নতুন ধরনের একটি মালওয়ার ব্যবহার করা হয়েছিল এই ধরনের হ্যাকিং এর ক্ষেত্রে।"
বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে এই ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল একটি বিশেষ ধরনের ট্রোজান ভাইরাস, যার নাম রিমোট অ্যাক্সেস ট্রোজান অর্থাৎ RAT। এই ভাইরাস কম্পিউটারে ঢুকিয়ে দিয়ে সমস্ত ধরনের তথ্য হাতিয়ে নেওয়া সম্ভব। ভারতীয়দের বোকা বানানোর জন্য বেশ কিছু ধরনের ওয়েবসাইট ইউআরএল ব্যবহার করা হতো এগুলি দেখে মনে হত সেগুলি ভারতীয় ওয়েবসাইট। বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইট এর সঙ্গে কিংবা অন্যান্য কোন ওয়েবসাইটের সঙ্গে লিংক করে এই ভাইরাস ঢুকিয়ে দেওয়া হতো। তারপর এই সেই ওয়েবসাইটে থাকা সমস্ত ধরনের তথ্য হাতিয়ে নিতে পারত ওই পাকিস্তানি হ্যাকার। তার সঙ্গেই, ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের একটি আইপি অ্যাড্রেস বেরিয়ে এসেছে। এই আইপি অ্যাড্রেস থেকে বর্তমানে ওই হ্যাকার এর ব্যাপারে আরো বেশি তথ্য জানার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে ওই মার্কিন সংস্থা।