করোনার (Corona Virus) দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ ক্রমশ কমতেই করোনার প্রতি শুরু হয়েছে মানুষের অবহেলা। মুখে নেই মাস্ক, নেই দূরত্ববিধি। ভিড় জমছে পাহাড়, সমুদ্র-সহ পর্যটনস্থলে। জনবহুল এলাকায় মাস্ক ছাড়া, কোভিডবিধি আমান্য করে ঘুরে বেড়ানোর একাধিক ঘটনা ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। মানুষ প্রায় ভুলেই গিয়েছে, করোনার তৃতীয় ঢেউ হাত নারাচ্ছে ক্রমশ। এবার তৃতীয় ঢেউয়ের কথা মনে করিয়েই আরও একবার রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা।
করোনা পরিস্থিতির কথা মনে করিয়ে তিনি এদিন লেখেন, 'অ্যাকটিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমতেই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আনলক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ছন্দে ফিরছে একাধিক এলাকা। এর মাঝেই চিন্তা বাড়াচ্ছে গণপরিবহণ, জনবহুল এলাকায় কোভিডবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা।' পাশাপাশি তাঁর সাফ বক্তব্য, কোনও এলাকায় যদি কোভিডবিধি ভাঙা হয় তাহলে পরবর্তী কড়া পদক্ষেপের জন্য তাদের তৈরি থাকতে হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দোকানপাট, বাজার, মল, রেস্তরাঁ, পানশালা, বাসস্টপ, স্টেশনের মতো জনবহুল এলাকায় বিধিনিষেধ লঙ্ঘন হলে দায়ী থাকবেন দায়িত্বে থাকা অফিসারেরা।
প্রসঙ্গত, করোনা মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে রাজ্য। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩১ জন রাজ্যবাসী। যার মধ্যে ৯৬ জন উত্তর ২৪ পরগনার। কাজেই সংক্রমণের প্রথম স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা। দ্বিতীয় স্থানে পূর্ব মেদিনীপুর। একদিনে সংক্রমিত সেখানকার ৮৩ জন। তৃতীয় স্থানে ফের কলকাতা। পজিটিভিটি রেট ১.৫০ শতাংশ। তবে একদিনে করোনার বলি ১৪ জন। যা আগের দিনের তুলনায় সামান্য হলেও কম। নদিয়ায় করোনার বলি ৩ জন। উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা ও দার্জিলিংয়ের দু’জন করে বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে।
কাজেই, এমন পরিস্থিতিতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব।