বুধবার টানা ৭ ঘন্টা জেরার পর ইডি (ED) গ্রেফতার করে মহারাষ্ট্রের এসিপি (NCP) দলের নেতা নবাব মালিককে (Nawab Malik)। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ কী? তিনি নাকি মোস্ট ওয়ান্টেড দাউদ ইব্রাহিমের কোন সাগরেদের সঙ্গে জমি কেনাবেচায় জড়িত। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি নিয়ে দেশে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। কেন্দ্রীয় সংস্থার 'অতি সক্রিয়তা' নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।
কে এই নবাব মালিক? তিনি মহারাষ্ট্রের দাপুটে নেতা। ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি বা এনসিপি দলের জাতীয় মুখপাত্র তিনি। প্রথম জীবনে উত্তরপ্রদেশ থেকে মুম্বই এসে পুরোনো জিনিসপত্র কেনা-বেচার কাজ করতেন। সাধারণ মানুষের কাছে তিনি 'কাগজওয়ালা' বলে পরিচিত ছিলেন। সেখান থেকে ধীরে ধীরে 'নবাব' হয়ে ওঠেন। নবাব মালিকের জীবনের ঘটনা কোন বলিউড সিনেমার কাহিনিকেও হার মানায়।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ঠিক কী? সূত্রের খবর, তিনি দাউদ সঙ্গীর সঙ্গে জমি কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আর তাই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির দফতরে টানা ৭ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তিনি অভিযোগ করেন, "আমাকে জোর করে নিয়ে আসা হয়েছে। আগে আদালতের সমন পাঠানো উচিত ছিল, তা করা হয়নি। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।"
বরাবরই তিনি স্পষ্টভাষী। নানা বিষয়ে মুখ খুলে এর আগেও তিনি বিতর্কে জড়িয়েছেন। শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খানের ঘটনার সময় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। এছাড়া রিপাবলিক টিভির টিআরপি বিতর্কেও তাঁর নাম জড়িয়েছিল। এমন দাপুটে নেতার গ্রেফতারিতে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে।