বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে বড়ো রদবদল। গুরুত্ব বাড়লো মুকুল রায়, অনুপম হাজরার। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে রাহুল সিনহার থেকে কেড়ে নেওয়া হল কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ। তার থেকেও বড়ো ব্যাপার কোনো পদই পেলেন না তিনি। কেন্দ্রীয় সভাপতি হওয়ার আট মাসের মাথায় কেন্দ্রীয় কমিটিতে প্রথম রদবদল করলেন সভাপতি জে পি নাড্ডা।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসার তিন বছরের মাথাতেই দলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতির পদ পেলেন মুকুল রায়। সামনে বিধানসভা ভোট। সেখানে তৃণমূলকে সরাতে গেলে মুকুল রায়ের অভিজ্ঞতা ভীষণভাবে দরকার বিজেপির। যদি ২০১১ সালে ফিরে দেখা যায় দেখা যাবে ৩৪ বছরের সিপিএমের দুর্গ ভেঙ্গে তৃণমূল ক্ষমতায় আসায় ভীষণ অবদান ছিল মুকুলের। সেই ভাবনা থেকেই হয়তো বড়ো চালটা চেলে দিলো কেন্দ্র বিজেপি।
রাজ্য বিজেপির অন্যতম পুরোনো নেতা রাহুল সিনহার পদ চলে যাওয়ায় ভীষণই হতাশ তিনি। ক্ষোভ থেকে বলেই দিলেন “৪০ বছর শ্রম দেওয়ার মূল্য পাচ্ছি এখন। জন্মলগ্ন থেকে বিজেপির সেবা করার পুরস্কার এটাই যে তৃণমূলের নেতা আসছে তাই আমায় সরতে হল। আমি এই বিষয়ে কিছু বলবো না। আমি ১০-১২ দিনের মাথায় আমার অবস্থান এবং ভবিষ্যৎ ভাবনা জানাবো।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা অনুপম হাজরা পেয়েছেন রাহুল সিনহার পুরোনো পদ।
একদিকে মুকুলকে সামনে রেখে বিধানসভা জেতার চেষ্টা। অন্যদিকে রাহুলের এই বিস্ফোরক মন্তব্য। বিজেপির মধ্যেকার বিরোধ সামনে চলে আসছে যেন। এখন রাহুল সিনহা নিজের অবস্থান সমন্ধে কি জানান সেদিকে সবার নজর। আর রাহুলের সিধান্তের উপর যে ভোটের অঙ্ক অনেকটা নির্ভর করছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা।