প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে সর্বোচ্চ আড়াই লক্ষ পর্যন্ত টাকা পেয়ে তিন কোটিরও বেশি দরিদ্র ভারতবাসী আজ ‘লাখপতি’। মঙ্গলবার লখনৌতে ‘আজাদি@৭৫ – নিউ আরবান ইন্ডিয়া : ট্রান্সফরমিং আরবান ল্যান্ডস্কেপ’-এর উদ্বোধন করতে গিয়ে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষ সবসময় আমাকে প্রশ্ন করে বলে, আমি দেশের মানুষের জন্য কি করেছি? প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (পিএমএওয়াই) প্রকল্পের সুবিধা লাভ করে দেশের তিন কোটিরও বেশি গরীব মানুষ আজ লাখপতি’।
এদিন আবাস যোজনার সুবিধাভোগী, লখনৌয়ের ৭৫,০০০ পরিবারের হাতে ডিজিটাল মাধ্যমে ঘরের চাবি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরেই তার সংযোজন, ‘আমি জানি, আমাদের বৃহৎ প্রতিপক্ষরা, যারা দিনরাত আমাদের সমালোচনা করে যান, তাঁরা আমার এই বক্তৃতা শুনে আবার আমাকে আক্রমণ করবেন’।
এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কেবলমাত্র পিএমএওয়াই – আরবান প্রকল্পের জন্যই সুবিধাভোগীদের মোট এক’লক্ষ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। কুঁড়েঘরে থাকা গরীব মানুষদের এদিন নিজের ‘পরিবার’ এবং ‘সাথী’ বলেও সম্বোধন করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, তাঁর সরকার মানুষগুলির ‘সবচেয়ে বড় স্বপ্ন’কে বাস্তবায়িত করতে সক্ষম হয়েছে।
তবে নিজ সরকারের ভূয়সী প্রসংশা করার পাশাপাশি ইউপিএ সরকার এবং উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন সমাজবাদী পার্টি সরকারকে আক্রমণ করতেও ছাড়েননি মোদী। তিনি এদিন বলেন, কংগ্রেসি আমলে মাত্র ১৩ লক্ষ বাড়ি বানানোর অনুমতি মঞ্জুর করা হয়েছিল, যার মধ্যে তৈরি হয়েছিল মাত্র ৮ টি বাড়ি। সে জায়গায় ২০১৪ সালের পর থেকে গরীবদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ১ কোটি ১৩ লক্ষ বাড়ি। এর মধ্যে ৫০ লক্ষ বাড়ি ইতিমধ্যেই তাদের মালিকের হাতে হস্তান্তরিত হয়েছে।
দরিদ্রদের জন্য গৃহনির্মাণের সঠিক নীতি গ্রহন করেনি পূর্ববর্তী সরকার, এমন আরোপ তুলেই বিষোদগার করতে শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীকে এদিন। ইউপিএ আমলে নির্মিত বাড়িগুলিকে তিনি পায়রার খোপের সাথে তুলনা করেন তিনি। পূর্ববর্তী অখিলেশ যাদব সরকারকেও একহাত নিয়ে তিনি এদিন বলেন, বারবার রাজনীতির খেলা খেলে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে বাধা সৃষ্টি করেছে সমাজবাদী পার্টি সরকার। ২০১৪ সাল থেকে বাড়ি বানানোর জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারকে যথেষ্ট অনুদান দেওয়া হলেও ২০১৭ সালের আগে পর্যন্ত অখিলেশ সরকার মঞ্জুর করেছে মাত্র ১৮,০০০ বাড়ি। আগের সরকারের সাথে বর্তমান যোগী সরকারের তুলনা টেনে মোদী বলেন, ২০১৭ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত, যোগী রাজে ঘর পেয়েছে ৯ লক্ষ পরিবার। ১৪ লক্ষ বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছে জোর গতিতে।