জোর আওয়াজে বিরক্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। চরমতম ক্ষেত্রে কানে শুনতে না পাওয়া বা বয়স্কদের হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর খবর পর্যন্ত পাওয়া যায়। তা বলে শব্দের চোটে হার্টফেল করে মুরগীর মৃত্যু! আজ্ঞে হ্যাঁ, এবার এমনই বিচিত্র ঘটনা ঘটল ওড়িশার বালাসোরে। রবিবার রাত্রে একটি বিয়েবাড়ির শোভাযাত্রায় বিকট শব্দে গান বাজানোর জেরে মৃত্যু হল ৬৩ টি মুরগীর।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুরগীর খামারের মালিক রঞ্জিত কুমার পারিদা, মঙ্গলবার নিলাগিরি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে তিনি জানিয়েছেন, বিয়েবাড়ির শোভাযাত্রায় অত্যন্ত উচ্চ আওয়াজে ডিজে বাজছিল। রবিবার রাত ১১ টা ৪০ মিনিট নাগাদ কাণ্ডাগারাণ্ডি গ্রামে তাঁর খামারের পাশ দিয়ে যায় শোভাযাত্রাটি।
রঞ্জিত বাবু জানিয়েছেন, তিনি শোভাযাত্রায় উপস্থিত ব্যক্তিদের ডিজে-র আওয়াজ কমানোর জন্য অনুরোধ করেন। তবে এরপর বরের বন্ধুরা ডিজে-র আওয়াজ আরও বাড়িয়ে দেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, প্রায় ১৫ মিনিট তাঁর খামারের সামনে দাঁড়িয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জোরে গান বাজিয়েছিল বরের বাড়ির লোকজন।
পরের দিন সকালে রঞ্জিতবাবু খামারে গিয়ে দেখেন সেখানে অনেকগুলি মুরগী মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পশুচিকিৎসককে ডাকা হলে তিনি পর্যবেক্ষণ করে বলেন, হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যু হয়েছে মুরগীগুলির।
নিজের ক্ষতির পরিসংখ্যান দিতে গিয়ে রঞ্জিতবাবু বলেছেন, তাঁর খামারে প্রায় ২,০০০ মুরগী রয়েছে। তার মধ্যে ৬৩ টি মুরগী মারা গেছে। এক একটি মুরগীর ওজন গড়ে তিন কেজি করে হলে তাঁর প্রায় ২৫,০০০ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি এও জানিয়েছেন, মৃত মুরগীগুলি এখনও তাঁর খামারেই পরে রয়েছে। তদন্ত শেষ হওয়া না পর্যন্ত তাঁর মুরগীগুলিকে সৎকার করার থেকে বিরত থাকতে বলেছে পুলিশ।
পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তের জন্য বুধবার বর বা বরের বাড়ির লোকজনকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে পশু বিশেষজ্ঞদের থেকেও সাহায্য চেয়েছে পুলিশ।