নির্বাচনের আগে পুদুচেরিতেও চলছে রাজনৈতিক ডামাডোল। আর দু'সপ্তাহের মধ্যেই সেখানে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। এর মাঝেই নিত্যদিন বদলাচ্ছে রাজনীতির সমীকরণ। ২০১৬র নির্বাচনে ৩০ টি আসনের মধ্যে ১৫ টি আসন পেয়ে জয় পেয়েছিল নারায়নস্বামীর কংগ্রেস। কিন্তু গতদিন ও আজ মিলিয়ে একাধিক কংগ্রেসী বিধায়ক পদত্যাগ করায় এখন সরকারের বিধায়ক সংখ্যা দশেরও নীচে চলে গেছে, একইসাথে বিরোধী দলে রয়েছে ১৪ জন। ইতিমধ্যেই মন্ত্রীসভার বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়নস্বামী। এই বৈঠকেই সরকার ভেঙে দিয়ে নিজেও পদত্যাগ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনটাই জল্পনা উঠেছে।
আর এই জল্পনার মাঝেই পুদুচেরীর লেফটেন্যান্ট গভর্নর কিরণ বেদীকে অপসারিত করার কথা ঘোষিত হল রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে। তেলেঙ্গানার তামিলসাই সৌন্দররাজনকে অস্থায়ীভাবে ওই পদে বসানো হয়েছে। ২০১৫র ভোটের হারের পর বিজেপি নেত্রী কিরণকে পুদুচেরীর এলজি করা হয় এবং নারায়নস্বামীর কংগ্রেসের সাথে বারংবার সংঘাতে জড়ান তিনি। তাই কিরণকে সরিয়ে রাজনৈতিক চাল চালল বিজেপি এমনটাই মনে করা হচ্ছে কারণ গত মাসে এক কংগ্রেস নেতা কিরণকে সরানোর শর্তেই বিজেপিতে যোগদান করেন। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কাজ করতে দিচ্ছেননা কিরণ, এমনও অভিযোগ ছিল কংগ্রেসের। পুদুচেরিতে কংগ্রেসের এই সংকটকালেই কিরণের অপসারণ নেহাতই কোনো ক্ষুদ্র ব্যপার নয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে।