২৬ জুলাই কার্গিল বিজয় দিবস। ভারতীয়দের কাছে অত্যন্ত গর্বের একটি দিন। আজকের দিন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনার অদম্য লড়াই এবং সবশেষে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার দিন। প্রতিটি ভারতীয় আজকের দিনটি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সময়টা ১৯৯৯ সাল। কার্গিলের ময়দানে লড়াই শুরু হয় ভারতীয় সেনার সঙ্গে পাক্ সেনার। দিনের পর দিন পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদলের আক্রমণ কিংবা সরাসরি পাক্ সেনার অতর্কিতে আক্রমণ মাথা ব্যথার অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছিল। এই উৎপাত কমাতে কার্গিল যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছিল। সেই মোতাবেক যুদ্ধ হয় এবং ভারতীয় কত বীর জওয়ানদের প্রাণের বিনিময়ে দেশ সুরক্ষিত থাকে। পাক্ সেনা ভয় পেয়ে পিছু হটতে থাকে। সেই ইতিহাসকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণে রেখে প্রতি বছর আজকের দিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দেশবাসী।
দেশের নবনিযুক্ত ১৫ তম রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এক টুইট বার্তায় বলেছেন, "কার্গিল বিজয় দিবস আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর অসাধারণ বীরত্ব এবং সংকল্পের প্রতীক। আমি সেই সমস্ত সাহসী সৈনিকদের প্রণাম জানাই, যাঁরা ভারতমাতাকে রক্ষা করার জন্য তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। সমস্ত দেশবাসী তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের কাছে সর্বদা ঋণী থাকবে। জয় হিন্দ!"
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক টুইট বার্তায় বলেছেন, "কার্গিল বিজয় দিবস মা ভারতীর গৌরবের প্রতীক। এই উপলক্ষ্যে, মাতৃভূমির প্রতিরক্ষায় তাঁদের বীরত্ব প্রমাণ করা দেশের সমস্ত বীর সন্তানদের আমার স্যালুট। জয় হিন্দ!" এদিন দিল্লির ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে সেনাবাহিনীর তিন প্রধান উপস্থিত থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার এবং বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী দিল্লির জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এক টুইট বার্তায় বলেছেন, "কার্গিল বিজয় দিবসে, ভারত আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্ব, সাহস এবং আত্মত্যাগকে স্যালুট জানায়। তাঁরা আমাদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্য অত্যন্ত কঠোর পরিস্থিতিতে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। তাঁদের বীরত্ব ও অদম্য চেতনার প্রকাশ ভারতের ইতিহাসে একটি সংজ্ঞায়িত মুহূর্ত হিসাবে চিরকাল খোদিত থাকবে।"