যথাসম্ভব চেষ্টা করে ভারতকে করোনা আক্রমণ থেকে রক্ষা করার সদা চেষ্টা করে চলেছে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন ওরফে ইসরো। ইসরো চেয়ারম্যান ডক্টর কে সিভান জানিয়ে দিয়েছেন, আমাদের বেশকিছু স্টাফ করোনাভাইরাস আক্রান্ত। এর ফলে আমাদের কাজের গতি অত্যন্ত ধীর হয়ে গিয়েছে। যদিও আমরা ভারতকে এই করোনাভাইরাস এর সঙ্গে মোকাবিলা করার সমস্ত ধরনের সাহায্য চালাচ্ছি। কেরালা, তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশে বিভিন্ন জায়গায় লিকুইড অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে লিকুইড অক্সিজেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস এবং এটি ব্যবহৃত হয় মূলত ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনের অক্সিডাইজার হিসেবে। মহেন্দ্রগীরি, তামিলনাড়ুর ইসরো প্রপালশন কমপ্লেক্স থেকে ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন এর জন্য জ্বালানি তৈরি হয় এবং সেখান থেকেই এই তরল অক্সিজেন সাপ্লাই করা হচ্ছে তামিলনাড়ু এবং কেরালা রাজ্যে।
সিভান জানিয়েছেন, "ইতিমধ্যেই কেরালা এবং তামিলনাড়ুতে ২৪ এপ্রিল থেকে ১৫০ টোন এর কাছাকাছি লিকুইড অক্সিজেন পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং আমরা আরও অক্সিজেন পাঠানোর চেষ্টা করছি। আমরা প্রত্যেক দিন ২.৫ মেট্রিক টন অক্সিজেন তৈরি করতে পারি। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা স্পেস সেন্টারে ২০ মেট্রিক টন অক্সিজেন স্টোর করে রাখা ছিল আগে থেকে। আমরা সেখানকার রাজ্য সরকারকে এই অক্সিজেন দান করেছি যাতে করোনাভাইরাস রোগীদের সুরক্ষিত রাখা যায়।" অন্যদিকে, ইসরো বর্তমানে কেরোসিন এবং মিথেন গ্যাস ব্যবহার করে সেমি ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন চালানোর ব্যবস্থা করছে যাতে তাদের কাজ খুব একটা আটকে না থাকে। এছাড়াও বহু সংখ্যক ফুয়েল ট্যাংক প্রদান করেছে ইসরো। ৪০,০০০ লিটার এবং ১ লিটারের বেশকিছু নাইট্রোজেন স্টোরেজ ট্যাংক আমেদাবাদ পাঠানো হয়েছে, যাতে অক্সিজেন করে গুজরাট সরকার ব্যবহার করতে পারবে। এছাড়াও তারা নতুন ধরনের অক্সিজেন কনসেনট্রেটর এবং ভেন্টিলেটর তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন যাতে দেশের করোনা রোগীদের কিছুটা সুবিধা হয়।