ভারতে তৈরি কোভিড টিকা কোভ্যাক্সিন (Covaxin) বা কোভিশিল্ডকে (Covishield) মান্যতা দেয়নি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU)। এরফলেই বহু ভারতীয় যাঁরা এই টিকার একটি কিংবা দুটি ডোজ নিয়ে ফেলেছেন, তাঁদের বিদেশ যাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। এবার পাল্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের উপর চাপ বাড়াল ভারত। সূত্রের খবর, যদি এই দুই ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের 'গ্রিন পাস' না দেওয়া হয়, তাহলে ইউরোপ থেকে আগত ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। বৃহস্পতিবার থেকে দেশে এই নিয়ম লাগু হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
ভারতের তৈরি কোভিড টিকা কোভ্যাক্সিন কিংবা কোভিশিল্ড টিকাকে এখনও ছাড়পত্র দেয়নি ইউরোপীয় ইউনিয়ন। পৃথিবীর অন্যান্য দেশ এই ভ্যাকসিন গুলিকে মান্যতা দিলেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন মান্যতা দেয়নি। এরফলে সমস্যায় পড়েছেন বহু ভারতীয়। বিশেষ করে ভারতীয় পড়ুয়া যাঁরা এই টিকা ইতিমধ্যেই নিয়েছেন, তাঁরা পড়েছেন শাঁখের করাতের ফাঁদে। অন্যদিকে কোভিশিল্ড প্রস্তুতকারক সংস্থা সেরাম ইন্সটিটিউট এই 'গ্রিন পাস' পাওয়ার জন্য বারবার আবেদন করার পরও কোন অনুমোদন মেলেনি। একথা জানিয়েছেন সেরাম ইন্সটিটিউট-এর কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন না থাকায় ইউরোপ ও আমেরিকাতে কোভ্যাক্সিন টিকা মান্যতা পায়নি। তাই দেশের সার্বিক টিকাকরণ প্রক্রিয়াও ব্যাহত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বাড়তি চাপ দিতে এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
ইউরোপে যেতে হলে এখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি 'ডিজিটাল কোভিড সার্টিফিকেট' চালু করেছে। এই শংসাপত্র ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সির অনুমোদন প্রাপ্ত। এই শংসাপত্র থাকলে ইউরোপের যেখানে খুশি সহজে বেড়ানো যাবে। বারবার বাধার মুখে পড়তে হবে না। এখন কোভ্যাক্সিন বা কোভিশিল্ড টিকা নেওয়া থাকলে মিলছে না এই সার্টিফিকেট। কেবল রাশিয়ান ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি-র অনুমোদন রয়েছে। তাই ইতিমধ্যেই যাঁরা কোভ্যাক্সিন বা কোভিশিল্ড টিকা নিয়ে নিয়েছেন, তাঁরা পড়েছেন মহা ফাঁপরে। এমন অবস্থায় বাড়তি চাপে রাখতে ভারতের এই সিদ্ধান্ত বলে সূত্রের খবর।