আগামী ২০২২ এর ১ ডিসেম্বর থেকে জি-টোয়েন্টি প্রেসিডেন্সির দায়িত্ব নিতে চলেছে ভারত এবং তার পরের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে এই সম্মেলনের আয়োজক হতে চলেছে নয়া দিল্লি। সম্ভাবনা আছে সেই সম্মেলন হতে চলেছে কাশ্মীরে এবং এই সিদ্ধান্তে দিশেহারা হয়ে পড়েছে পাকিস্তান এবং চীন। ইতিমধ্যেই পাকিস্তান কূটনৈতিক স্তরে বন্ধু চীনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে শুরু করেছে বলে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু এবার সরাসরি ভারতের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করা শুরু করল চীন।
বৃহস্পতিবার চীনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র এক সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন, "কাশ্মীরের বিষয়টি নিয়ে চীনের দৃষ্টিভঙ্গি পুরোপুরি স্পষ্ট। এটা ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে আগে থেকে চলতে থাকা একটি দ্বিপাক্ষিক ইস্যু। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সহায়তা এবং দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মধ্য দিয়ে এখানে শান্তি এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখা নিয়ে সচেষ্ট হওয়া উচিত। দুই পক্ষের উচিত একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে বিষয়টিকে আরো জটিল না করে তোলা।" এবার প্রশ্ন উঠছে চিংকি তাহলে আগামী সম্মেলনে যোগদান করছে না? সেই প্রসঙ্গে চীনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বললেন, "আমরা বৈঠকে অংশ নিব কিনা সে বিষয়ে ভেবে দেখা হবে।" অর্থাৎ ভারত সরকারের উপরে সম্পূর্ণ চাপ সৃষ্টি করার পরিকল্পনা নিয়ে রাখল চীন।
অন্যদিকে পাকিস্তান মনে করছে, কাশ্মীরে এই জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করে ভারত সারা বিশ্বকে বার্তা দিতে চাইছে, উপত্যকায় নাকি কোন অশান্তি নেই। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে তাদের উপরে চাপ সৃষ্টি হওয়া শুরু হয়েছে। এর আগে গত মার্চ মাসে ৩৬টি দেশের প্রতিনিধিরা কাশ্মীরের একটি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগদান করেছিলেন। এবার এখানেই G-20 সম্মেলন আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিল ভারত। এই সিদ্ধান্তে নিঃসন্দেহে পাকিস্তানের উপরে বাড়লো চাপ। আপাতত তাই চীনের পাশাপাশি সৌদি আরব এবং তুরস্ককে নিজেদের পাশে পেতে চাইছে পাকিস্তান। এমনকি আমেরিকার মতো সদস্য দেশগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতে শুরু, এমনটাই জানা যাচ্ছে ঘনিষ্ঠ মহল সূত্র থেকে।