করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে একেবারে তথৈবচ অবস্থা ভারতের। প্রায় প্রত্যেকদিন বহু মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। এই অবস্থায় সরাসরি চাপ পড়েছে ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপরে। ভারতের এই অবস্থা সামাল দিতে এগিয়ে আসছে ফ্রান্স, ব্রিটেন, আমেরিকার মতো কিছু দেশ। তবে এবারে আগের সমস্ত সমস্যাকে দূরে ঠেলে দিয়ে ভারতের পাশে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে খোদ চিন। এখন করোনা ভাইরাসের প্রভাব এতটাই বেড়ে গেছে এবারে ভারতকে বিদেশে আমদানি করতেই হবে। এই পরিস্থিতিতে এবারে ১৬ বছরের পুরনো ত্রাণ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত বদলে দিল ভারত সরকার। এবার থেকে চীনের করোনা - সরঞ্জাম ব্যবহার হবে ভারতেও। চীনের সঙ্গে গালওয়ান সীমান্তে সমস্যার পরেই, চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছিল মোদি সরকার। কিন্তু এবারে পরিস্থিতি এমনি হয়েছে, তাতে চীনের কাছ থেকে সামগ্রী আনার ব্যাপারে একেবারে সবুজ সংকেত দিয়ে দিয়েছে দিল্লি।
ভ্যাকসিন এবং করোনা ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলা করার বিভিন্ন জিনিস কেনা হবে যাতে ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলা করা যায়। ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন সহ করোনা মোকাবিলার সমস্ত সরঞ্জাম কেনার জন্য গ্লোবাল টেন্ডার ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই মর্মে তদবির করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠিয়েছেন। মোদিকে উদ্দেশ্য করে তিনি লিখেছেন, "দেশে এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনের সত্যি আকাল চলছে। এ অবস্থায় বাংলায় ১০ কোটি এবং দেশে ১৪০ কোটি ভ্যাকসিন অত্যন্ত প্রয়োজন এবং তাও খুব তাড়াতাড়ি। বিদেশে অনেক কোম্পানি ভ্যাকসিন উৎপন্ন করছে, যদি সম্ভব হয় তাহলে বিদেশের প্রসিদ্ধ সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করে ভ্যাকসিন ক্রয় করার অনুরোধ করুন। আমি অনুরোধ করছি দেশের কথা ভেবে, বিশ্বের যেকোনো একটি প্রান্ত থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে আসা হোক।" তবে শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না, দেশের আরও অনেক রাজনীতিবিদের থেকে এই একই দাবি উঠেছে। তার সঙ্গেই রাজ্যগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তারা এবারে ভ্যাকসিনের গ্লোবাল টেন্ডার ডাকতে পারে নিজেদের মত করে।