প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপর ভারত ও চীনের অধিকার নিয়ে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি রিপোর্টে সম্প্রতি বলা হয়েছে, "ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় গ্রাম গড়ে তুলেছে চীন। বিশেষ করে অরুণাচল প্রদেশ সংলগ্ন বিতর্কিত এলাকায় ১০০ টি ঘরের গ্রাম তৈরি হয়েছে।" অন্যদিকে 'মিলিটারি অ্যান্ড সিকিউরিটি ডেভলপমেন্ট ইনভলভিং পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না ২০২১' রিপোর্টে বলেছে, "চীনের এই নতুন পরিকাঠামোর কারণে ভারতের সরকার ও সংবাদমাধ্যমের চিন্তা বাড়াচ্ছে। এলএসি সংলগ্ন এলাকায় চিন এই গ্রাম তৈরি করেছে বলে উপগ্রহ চিত্র পাওয়া গেছে। তবে ওই গ্রাম ১৯৬২ র যুদ্ধের আগেই চিন কব্জা করেছে। ওগুলি আগে যুদ্ধের আগে সেনাদের ব্যারাক হিসাবে ব্যবহার করত।"
সম্প্রতি পেন্টাগন একটি রিপোর্টে জানিয়েছে, ভারত সংলগ্ন নিয়ন্ত্রণ রেখাতে নিজেদের দাবি মজবুত করতে ইনক্রিমেন্টাল অ্যান্ড ট্যাকটিক্যাল পদক্ষেপ করছে চীন। এছাড়া চিন ভারত সংলগ্ন এলাকায় ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক বসানোর কাজ চালাচ্ছে। এতে চিনা সেনার সামরিক যোগাযোগ উন্নত হবে। ইতিমধ্যেই ভারত ও চিন নিয়ন্ত্রণ রেখায় বড় সংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছে। পেন্টাগনের ১৯২ পৃষ্ঠার ওই রিপোর্ট আন্তর্জাতিক মহলে হইচই ফেলে দিয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকে অরিন্দম বাগচী বলেছেন, "মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী চীনা অধিগ্রহণ দেখা গিয়েছে। ইস্টার্ন সেক্টরে বেআইনি চিনা ঘর তৈরি মেনে নেওয়া হবে না। ভারত কখনোই এমন বেআইনি অধিগ্রহণ মেনে নেয়নি। ভারত চীনের এমন কাজের তীব্র বিরোধিতা করে।"