ভারত ও বাংলাদেশ এই দুই প্রতিবেশী দেশ নিজেদের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও সাতটি চুক্তি স্বাক্ষর করল। সেইসঙ্গে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেলপথেরও উদ্বোধন করলেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী, নরেন্দ্র মোদী ও শেখ হাসিনা। পুরো সম্মেলনটাই হয় ভার্চুয়ালি।
এই সম্মেলনে বাংলাদেশকে 'প্রতিবেশী প্রথম' নীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন নরেন্দ্র মোদী। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, এই দুই দেশের অর্থনৈতিক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে সক্ষম হলে আন্তর্জাতিক স্তরেও এই দুই দেশ যথেষ্ট ক্ষমতাশালী হয়ে উঠবে। এক্ষেত্রে হলদিবাড়ি- চিলাহাটি রেলপথও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের যুদ্ধের পর থেকে এই রেলপথে রেল পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছিল। এই রেল পথের সঙ্গে শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ির যোগাযোগ ছিল। প্রায় ৫৫ বছর পর এই রেলপথ নতুন করে চালু করা হল।
এছাড়াও বস্ত্রশিল্প, কৃষি, হাইড্রোকার্বন, আন্তঃসীমা হাতি চলাচল, বরিশালে বর্জ্র্যব্যবস্থার উন্নতির জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতির জোগান, প্রভৃতি বিষয় নিয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে দুটি দেশ। এই ভার্চুয়াল সম্মেলনে মহাত্মা গান্ধী ও মুজিবর রহমানের ওপর একটি ডিজিটাল প্রদর্শনীরও উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদী ও শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা জানান, ১৭ ডিসেম্বর তাঁর কাছে একটি স্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশে। আর তার পরদিন অর্থাৎ ১৭ই ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনার হাত থেকে শেখ হাসিনার মা, বোন, ভাইকে মুক্ত করে ভারতীয় সেনার মেজর অশোক তারা। ভারত কে তিনি' প্রকৃত বন্ধু' বলে উল্লেখ করেন তিনি।