চলতি বছরের নভেম্বরে ইডির চার্জশিটে অভিযোগের তীর গিয়ে পড়েছে আইসিআইসিআই ব্যাংকের প্রাক্তন এমডি ছন্দা কোছারের স্বামী দীপক কোছার এবং ভিডিওকনের চেয়ারম্যান বেনুগোপাল ধুতের দিকে। অভিযোগ তাঁরা বাড়ির মালি, সাফাইকর্মী, পিওনদের ভুয়ো অধিকর্তা পদে বসিয়েছেন তাদেরই অজান্তে।
বেনুগোপাল ধুতের আহমদনগরের সাফাইকর্মী কেশরমল রয়েছেন গান্ধী ইন্ডিয়ান রেফ্রিজারেটর কোম্পানি লিমিটেড সংস্থার অধিকর্তা পদে। সংস্থার লেনদেন তো দূরের কথা, উনি যে ওই পদে আছেন তাও জানেননা তিনি, এমনটাই জানান ইডিকে। ভিডিওকন ইন্টারন্যাশনালে কর্মরত মালি লক্ষীকান্ত সুধাকরের যে রিয়েল ক্লিনটেক নামক বেসরকারি সংস্থাতেও ৫০ শতাংশ মালিকানা আছে তা তাঁর অজানা।
অন্যদিকে দীপক কোছার তাঁর বন্ধু আনন্দ মোহনকে ছ'টি সংস্থার অধিকর্তা দেখান যা আনন্দ জানতেন না। কোছারদের এচান্ডা উর্জা নামক বেসরকারি সংস্থার পিয়ন শারদ শংকর তারই অজ্ঞাতে রয়েছেন পিসিএসপিএল এর ডিরেক্টর পদে। দীপকের শ্যালক নীলম আদবানিকেও রেখেছেন একাধিক কোম্পানির ডিরেক্টর পদে। ইডির নালিশ, কোছারের কোম্পানি নিউপাওয়ার রিনিউয়েবলস, ভিডিওকনে ৬৮ কোটি টাকা ঘুষ হিসেবে বিনিয়োগ করেছিল যদিও দীপকের আইনজীবী এ সবই আযৌক্তিক বলে দাবী করেছেন।